দেশে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার ২০ ভাগ বেড়েছে

দেশে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার শতকরা ২০ ভাগ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ‘এখন দেশের ভেতরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। ফলে এ খাত থেকে সরকার প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পাচ্ছে।’
আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক সামিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘প্লাস্টিক শিল্প দেশে একটি বিকাশমান খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ২০২১ সালে এ খাতের রপ্তানি আয় ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে। দেশে এখন আন্তর্জাতিকমানের শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি প্লাস্টিক কারখানা আছে। দেশের প্লাস্টিক শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১৮ লাখ লোক জড়িত।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবছর তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। আর অভ্যন্তরীণভাবে ১৮ হাজার কোটি টাকার পণ্যের ব্যবহার করা হয়। কাঠের বিকল্প হিসেবে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্লাস্টিক শিল্পের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে আসছে। ২০১৬ সালের জাতীয় শিল্পনীতিতে এ খাতকে সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে।’
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘মোড়কের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের প্যাকেটের ব্যবহার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় এ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ, এমন কিছু পণ্য রয়েছে, যেগুলোর মোড়ক প্লাস্টিক ছাড়া সম্ভব নয়।’
শুল্ক প্রত্যাহারসহ প্রয়োজনীয় নীতিগত সহায়তা পেলে প্লাস্টিক খাত অচিরেই একটি সম্ভাবনাময় খাতে পরিণত হবে বলে মনে করেন মাতলুব আহমাদ।
বাংলাদেশ প্লাস্টিকদ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদেকর সংগঠন (বিপিজিএমইএ) ও তাইওয়ানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান চ্যান চাও ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক সামিটের আয়োজন করেছে। সামিট চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।
সামিটে ২২টি দেশ অংশ নিয়েছে। এতে ৩৫০টির স্টল রয়েছে। মেলায় মেশিনারিজ, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
সামিট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিপিজিএমইএর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহেদ, পরিচালক শাহজাহান, আবুল খায়ের প্রমুখ।