জামদানি প্রদর্শনী শুরু ১৯ জুন

রাজধানীতে ১০ দিনব্যাপী জামদানি প্রদর্শনী শুরু হবে আগামী ১৯ জুন। শাহবাগের বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এ প্রদশনী অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিসিক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প পণ্য জামদানি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে।
১০ দিনের এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বিশেষ অতিথি থাকবেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
প্রদর্শনীতে জামদানি কারুশিল্পীদের নিপুণ হাতের তৈরি নান্দনিক রূপ ও বৈচিত্র্যের অনবদ্য সৃষ্টি জামদানি পণ্য সামগ্রী প্রদর্শন করবেন। মোট ২৭টি স্টলে তেরছা, জলপাড়, পান্নাহাজার, করোলা, দুবলাজাল, সাবুরগা, বলিহার, শাপলাফুল, আঙ্গুরলতা, ময়ূরপ্যাচপাড়, বাঘনলি, কলমিলতা, চন্দ্রপাড় ও ঝুমকা ইত্যাদিসহ আরো অনেক বাহারি নামের জামদানি শাড়ির পসরা বসবে।
বিসিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জামদানি শিল্পোয়নে কাজ করে আসছে বিসিক। শিল্পের সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমস্যা নিরসনের জন্য ১৯৯৯ সালে বিসিক জামদানি শিল্পনগরী ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়। পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বিসিক নারয়নগঞ্জ জেলাধীন রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো ইউনিয়নের নোয়াপাড়াতে ২০ একর জমির ওপর জামদানি শিল্পনগরী ও গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করে। শিল্পনগরীতে ৪০৯টি শিল্প প্লট রয়েছে। এরই মধ্যে ৩৯৯টি প্লট উদ্যোক্তাদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ৩৬৩টি শিল্প কারখানা স্থাপিত হয়েছে। তা ছাড়া এখানে একটি হাটকর্নার রয়েছে। যেখানে সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার এ হাটে উদ্যোক্তারা জামদানি কারুশিল্পীর উৎপাদিত পণ্য বিক্রির সুযোগ পান।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, এককালে পৃথিবীব্যাপী মসলিন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই সৃষ্টিশীল বস্ত্র ছিল সারা দুনিয়ার বিস্ময়, এই অঞ্চলের গর্ব ও মর্যাদারবস্তু। মসলিনের মধ্যেই বাংলাদেশ আজকে পরিচিতি পেয়েছে বিশ্বময়। সেই মসলিনেরই উত্তরসূরী আজকের জামদানি। আর বিষয়টি তুলে ধরতেই বিসিক জামদানি প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করে যাচ্ছে।
এ প্রদর্শনী শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে। অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।