সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল হচ্ছে : তারানা

দেশের বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর সিটিসেলের (প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড) লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি জানান, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা আছে সর্বমোট ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আর পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
তারানা হালিম আরো বলেন, ‘গ্রাহকদের বিষয়টি মাথায় রেখে একটু সময় নেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকরা সাতদিন সময় পাবেন। এ সময়ের মধ্যে গ্রাহকরা অন্য প্রতিষ্ঠানের নম্বর নিতে পারবেন।’
সিটিসেলের গ্রাহকদের অন্য প্রতিষ্ঠানের সেবা নেওয়ার জন্য অর্থাৎ নম্বর বদলের জন্য গত ৩১ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অন্য প্রতিষ্ঠানের নম্বর গ্রহণের জন্য আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় দেয় বিটিআরসি।
বিটিআরসি জানায়, তরঙ্গ ফি নবায়নের দুটি কিস্তির অর্থ নির্ধারিত সময় চলে যাওয়ার পরও পরিশোধ করেনি সিটিসেল। এ ছাড়া স্পেকট্রাম নবায়নের ফি, বার্ষিক লাইসেন্স ফিসহ বিভিন্ন খাতের পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি ওই প্রতিষ্ঠান।
বিটিআরসির সর্বশেষ জুন মাসের তথ্য অনুযায়ী, সিটিসেলের বর্তমান গ্রাহকসংখ্যা সাত লাখ। তবে গত ৩ আগস্ট বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানান, সিম পুনর্নিবন্ধনের পর সিটিসেলের গ্রাহকসংখ্যা দুই লাখে নেমে এসেছে।
১৯৮৯ সালে লাইসেন্স পায় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড। এটিই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল ফোন অপারেটর।
বর্তমানে সিটিসেলের প্রায় ৪৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক সিংটেল এশিয়া প্যাসিফিক। ফার ইস্ট টেলিকম ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক। আর প্যাসিফি মোটরসের হাতে আছে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ মালিকানা।