পোশাক খাতের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারে সহায়তা করবে জাইকা

বাংলাদেশের পোশাক খাতের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ করে তুলতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জাপান। ঝাঁকুনি প্রতিরোধক করে তুলতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর সংস্কার করা হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নিরাপদ ভবন উন্নয়ন : রানা প্লাজার দুর্ঘটনা এড়াও’ শীর্ষক এক সেমিনারে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)-এর শীর্ষ কর্মকর্তা হিরৌকি টোমিটা এ তথ্য জানান।
হিরৌকি টোমিটা বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের মতো দুর্ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশের পোশাক খাতের ভবনগুলো ঝুঁকিমুক্ত হওয়া উচিত। ভবনগুলো যাতে ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি প্রতিরোধক করে সংস্কার করা যায়, সে জন্য জাপানি প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা সাহায্য করতে পারে।
সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধী কৌশল প্রকল্প (সিএনসিআরপি) বাস্তবায়ন করবে গণপূর্ত বিভাগ। এতে প্রযুক্তি সহায়তা দেবে জাইকা।
হিরৌকি টোমিটা বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক খাতের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারে শিগগিরই একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে জাইকা। এরই মধ্যে জাপানি বিশেষজ্ঞরা এ দেশের পোশাক খাতের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংস্কারে তাদের কাজ শুরু করেছে।’
একটি প্রেজেন্টেশনে জাইকার সহকারী প্রোগ্রাম কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, রানা প্লাজা ধসের ঘটনার পর জাইকা ‘আরএমজি সেক্টর সেফ এনভায়রনমেন্ট প্রজেক্ট’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আর এ দেশের পোশাক খাতের ভবনগুলো শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ করে গড়ে তুলতে কোম্পানির মালিকদের সহায়তা করতে জাইকা ও বাংলাদেশ ব্যাংক মিলে ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে।
জাইকার বিশেষজ্ঞদলের প্রধান ফুমিও কানেকো বলেন, ‘একটি ধারণা আছে যে ভবন ঝাঁকুনি প্রতিরোধক প্রযুক্তির মাধ্যমে গড়তে অনেক ব্যয় হয় এবং বাংলাদেশের মতো অর্থনীতির দেশের ক্ষেত্রে তা ব্যয়সাধ্য নয়। কিন্তু এটা পুরোপুরি ভুল ধারণা। সাধারণত নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রে মাত্র ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ব্যয় লাগতে পারে।’
ইউএনবি জানায়, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. কবির আহমেদ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত ব্যক্তব্য রাখেন সিএনসিআরপির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব।