‘পুঁজিবাজারের মাধ্যমেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব’

পুঁজিবাজারের উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন।
বিএসইসির কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালাকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে খায়রুল এ মন্তব্য করেন।
কমিশনার হিসেবে ড. স্বপন কুমার বালার মেয়াদ দুই বছর থেকে চার বছরে উন্নীত করায় ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। এতে ছয় সদস্যের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু।
এ সময় খায়রুল হোসেন বলেন, ‘অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা একাডেমিক এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। যার ওপর কমিশনের অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। ড. বালার সততা, দক্ষতা এবং স্টক এক্সচেঞ্জের বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁর পেশাদারত্ব কমিশনের কর্মকাণ্ড স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে রেগুলেটরের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা রাখতে পারবে।’
খায়রুল হোসেন আরো বলেন, ‘আমাদের সবারই উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। তা হালো পুঁজিবাজারের উন্নয়ন। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএসইসি সহযোগিতা করবে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।’
ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘বিএসইসির কমিশনার ড. বালা বিগত সময়ে তিন বছর ডিএসই পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন। এ সময় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পুঁজিবাজারের অভিজ্ঞতা অর্জনের পর রেগুলেটর হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাওয়া, যা এর আগে আর কারো হয়নি। ডিএসইর ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশনের শুরু থেকে তিনি ছিলেন। তাঁর দায়িত্বকালীন ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী দুই বছর দায়িত্ব পালনের পর তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়। তিনি সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করেছেন। এর একটি ধারা বিএসইসিতে অব্যাহত থাকবে।
আহসানুল ইসলাম আরো বলেন, ‘বাজারের উন্নয়নের স্বার্থে নতুন বিনিয়োগকারী আসা জরুরি। এজন্য নতুন অফিস প্রয়োজন এবং নতুন সুযোগ সুবিধা প্রয়োজন। বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে দেশব্যাপী ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিএসইসিকে ধন্যবাদ জানাই।’
এ সময় বিএসইসির কমিশনার মো. আামজাদ হোসেন, নির্বাহী পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন এ এস শাহুদুল হক বুলবুল, মো. হানিফ ভূঁইয়া, সাহেদ আবদুল খালেক, মিনহাজ মান্নান ইমন এবং মিসেস খুজিস্তা নুর-ই-নাহরীন।