সক্ষমতা বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্বের সমুদ্রবন্দরগুলোর তথ্য নিয়ে প্রকাশিত শীর্ষ আন্তর্জাতিক সাময়িকী লয়েডস লিস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতার দিক থেকে বিশ্বের ১০০ বন্দরের মধ্যে ৭৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে। আগে এর অবস্থান ছিল ৮৭তম।
এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দর স্টেডিয়ামসংলগ্ন মিলনায়তনে সনদ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আকতার হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৭৩৪ সাল থেকে লয়েডস লিস্ট প্রকাশিত হয়ে আসছে। এই সাময়িকীটি প্রতিবছর বিশ্বের বাছাই করা ৫০০ বন্দর থেকে ১০০ বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা জরিপ করে থাকে। ২০১৫ সালের এ জরিপে ৮৭তম স্থান থেকে ৭৬তম স্থানে উঠে আসে চট্টগ্রাম বন্দর।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯৮ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে চট্টগ্রাম বন্দর, যার প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫ শতাংশ- এমন তথ্য জানিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আকতার হাবিব বলেন, এখন বন্দরের উন্নয়ন ধারা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে বে-টার্মিনাল নির্মাণের বিকল্প নেই।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে আমরা বিশ্বের একটি অন্যতম বন্দরে পরিণত করতে চাই। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মোংলা বন্দরকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। সেই বন্দর সাড়ে ১১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছিল। আর এই সরকারের আমলে ২০১৫ সালে মোংলা বন্দর ৬৫ কোটি টাকা লাভ করেছে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অর্জনকে ধরে রাখতে হবে। একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে এখনই কাজ শুরু করতে হবে। না হলে আজকের অর্জনকে ধরে রাখা যাবে না।
এর আগে সকালে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক একটি গেট ও শেড উদ্বোধন করেন।