রিজার্ভ চুরির দেড় কোটি ডলার ফেরত পেল বাংলাদেশ

নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির প্রায় ১০ মাস পর ফিলিপাইন থেকে প্রায় দেড় কোটি ডলার ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। আজ শনিবার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘বাংকো সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপিনাস’ মারফত মোট এক কোটি ৫২ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত পাওয়ার খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা রাজি হাসান শনিবার ইউএনবিকে এই খবর জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল ফিলিপাইন থেকে এক কোটি ৫২ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার গ্রহণ করেছে। এই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’
এর আগে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক সাইবার চক্রের হ্যাকাররা সুইফট কোড জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে। বিপুল পরিমাণ এ অর্থের মধ্যে স্থানান্তরিত করে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে (আরসিবিসি) পাঠানো হয়। আর শ্রীলঙ্কার প্যান এশিয়ান ব্যাংকে যায় ২০ মিলিয়ন ডলার।
সুইফট কোডের মাধ্যমে অভিনব এই চুরির পরপরই শ্রীলঙ্কার অর্থ ফেরত পাওয়া গেলেও ফিলিপাইনে আসা সব অর্থ উদ্ধার করা যায়নি। আট কোটি ১০ লাখ ডলারের অধিকাংশই রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে দেশটির বিভিন্ন স্থানের জুয়ার টেবিলে চলে যায়। এভাবেই ওই টাকা আইনগতভাবে বৈধ টাকায় (সাদা টাকা) পরিণত করেছিল চোররা।
পরবর্তীকালে ফিলিপাইনের সিনেট কমিটির শুনানিতে অর্থপাচারে সম্পৃক্ত ক্যাসিনো মালিক কিম অং দেড় কোটি ডলার ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিন ধাপে তিনি ওই টাকা দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জমা দেন। পরে এই অর্থ ফেরত পেতে ফিলিপাইনের বিচার বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি আইনি নথি ও প্রতিবেদন লিপিবদ্ধ করতে পরামর্শ দিয়েছিল।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘বাংকো সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপিনাসকে’ (বিএসপি) বাংলাদেশের রিজার্ভের চুরি হওয়া টাকার এক কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ডলার ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশটির একটি আঞ্চলিক আদালত।