জ্বালানি আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব

উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই বাজেট উত্থাপন শুরু করেন। ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেটে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ গড়ার কথা ফুটে উঠেছে। এতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায় করতে হবে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, পেট্রল, অকটেন ও ডিজেল আমদানিতে প্রতি লিটারে ১৩ দশমিক ৭৫ টাকা করে নতুন শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য জ্বালানি জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল, লুব বেইজ অয়েল, কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি মেট্রিক টনে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতদিন এসব জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।
আমদানিকৃত পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ও নূন্যতম মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পেট্রলিয়াম ও এর উপজাত ২টি হেডিংয়ের আওতায় ১২টি এইচএস কোডের বিপরীতে ট্যারিফ মূল্য এবং ১টি হেডিংয়ের আওতায় একটি এইচ এস কোডের বিপরীতে ন্যূনতম মূল্য বহাল আছে।
এছাড়া পেট্রলিয়াম ও এর উপজাতগুলোর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে বলে প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় বিশেষ প্রস্তাবিত বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়ে চলে দুপুর পর্যন্ত। এরপর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বাজেট সংসদে উপস্থাপনের অনুমতি দিয়ে তাতে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ বঙ্গভবনের পরিবর্তে জাতীয় সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে অফিস করেন তিনি।
এবার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায় করতে হবে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।