তিন বছরে ঘর পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার গৃহহীন মানুষ

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬৬টি গৃহ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেন তার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৭ সালে। দ্বিতীয় মেয়াদে এ প্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে জমি ও গৃহের মালিকানা দিয়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মর্মে ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত সারাদেশে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬৬টি গৃহ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে পরিবারভিত্তিক স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ২ শতাংশ জমির মালিকানা দলিল ও নামজারি সম্পাদন করে দেওয়া হয়েছে। এ জমিতে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে ২ কক্ষ, প্রশস্ত বারান্দা, একটি টয়লেট ও একটি রান্নাঘর সম্বলিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব ডিজাইনের গৃহনির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, একটি গৃহ কীভাবে সামগ্রিক পারিবারিক কল্যাণ ও সামাজিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হতে পারে তার অনন্য দৃষ্টান্ত এ আশ্রয়ণ প্রকল্প। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন তথা দারিদ্র্য বিমোচনের এ নতুন পদ্ধতি ইতোমধ্যে ‘শেখ হাসিনা মডেল’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এর আগে, দুপুর ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।