এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ কমেছে। গত মার্চ–এপ্রিল সময়ের জন্য আকুতে এক দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে এখন দেশে মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, এখন দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। বুধবার (৭ মে) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে দুই হাজার ২৯ কোটি ১২ লাখ ১০ হাজার ডলার। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এক হাজার ৭০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, দেশের মোট রিজার্ভ দুই হাজার ৫৬৭ কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার ডলার। যেখানে গতকাল মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে ছিল দুই হাজার ২০৬ কোটি ১৯ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৭৪৪ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

এর আগে গত ৪ মে দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে ছিল দুই হাজার ১৯৭ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৭৩৫ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার। গত ৩০ এপ্রিল দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে ছিল দুই হাজার ২০৪ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৭৪১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গত ২৭ এপ্রিল দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে ছিল দুই হাজার ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৬৭৮ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার ডলার।

এর আগে, ২০ এপ্রিল দেশে রিজার্ভ ছিল বিপিএম-৬ হিসেবে দুই হাজার ১৩৪ কোটি পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, দেশের মোট রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৬৭০ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। গত ১৫ এপ্রিল বিপিএম-৬ হিসেবে রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ১১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, দেশের মোট রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৬৫১ কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার।