দেশের পোশাক শিল্পকে বিশ্ববাজারের সর্বোচ্চ স্থানে নিতে চাই : আবুল কালাম

চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম। একজন সফল ব্যবসায়ী ও সংগঠক। গত ২০১২-২০১৩ সালে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ মেয়াদে উত্তরা ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে সম্মিলিত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। বিজিএমইএর আগামী নির্বাচনে (২০২৫-২৭) সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আবুল কালাম। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ মে, শনিবার।
আবুল কালাম স্বপ্ন দেখছেন বিজিএমইএর দায়িত্ব পেলে সবাই মিলে নিরলসভাবে কাজ করে তৈরি পোশাক শিল্পকে বিশ্ববাজারের সর্বোচ্চ স্থানে নিয়ে যাবেন। ক্রমান্বয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি আয় বাড়িয়ে শত বিলিয়র ডলারে পৌছাবে। পোশাক কারখানা স্থাপনে উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন। বাড়াবেন কর্মসংস্থান।
তৈরি পোশাক শিল্পের নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও প্রতিকার প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন আবুল কালাম। তিনি এই শিল্পের উন্নয়নে তার আগামীর কর্মপরিকল্পনার কথা জানান। যেখানে বিজিএমইএর রূপ হবে পুরোটাই ডিজিটাল, থাকবে সদস্যদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস, তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সহায়তাসহ ‘মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিং’কে জোরদার করার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো। এছাড়া পোশাক উৎপাদন প্রক্রিয়া আধুনিকীকরণ, বিশ্ববাজারে সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পোঁছে দিতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এনটিভি অনলাইনের পক্ষে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান। এখানে সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো—
এনটিভি অনলাইন : বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অতীত ও বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে ভবিষ্যত সম্ভাবনার বিষয়ে আপনার চিন্তা সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন-
আবুল কালাম : ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উত্থান শুরু হয়। সস্তা শ্রম, কোটা সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার কারণে এই খাত দ্রুত বিকাশ লাভ করে। এছাড়া নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ এই শিল্পকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। দেশের পোশাক শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস এখনো। সম্প্রতি এই খাতটি নানামুখী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, এতে ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলছে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে উন্নত প্রযুক্তি, দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং টেকসই উৎপাদনের দিকেই অগ্রসর হতে হবে। না হলে এই খাত তার অবস্থান হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে। বর্তমানে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও ভারত উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর এবং দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এগিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তি ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। গড়ে তুলতে হবে নিজেদের ফ্যাশন ব্র্যান্ড, যেন আমরা কেবল উৎপাদক না হয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সামনে ইউরোপ-আমেরিকার বাইরে নতুন বাজার (চীন, জাপান, রাশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা) খুঁজে বের করা হবে। পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে যেতে হবে, সবুজ কারখানা গড়ে তুলতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে তৈরি পোশাক শিল্প খাত আগামীতে শত বিলিয়ন ডলারের বাজার হবে খুব সহজেই।
এনটিভি অনলাইন : ভিন্ন বাস্তবতায় তৈরি পোশাক শিল্প নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, সামনে দায়িত্ব পেলে এসব মোকাবিলা করে পোশাক শিল্পকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন?
আবুল কালাম : দেশের তৈরি পোশাক শিল্প দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি হলেও এখন বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা, শ্রমিকদের অধিকার, পরিবেশগত প্রভাব এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এসবই এখন শিল্পটির সামনে বড় বাধা। তবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পোশাক শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বেশকিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে। পোশাক শিল্পের মধ্যে টেকসই উৎপাদন পদ্ধতি এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি মনে করছি। পোশাক শিল্পের গতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অটোমেশন এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। স্মার্ট ফ্যাক্টরি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি শিল্পটিকে আরও উন্নত করবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে। বিশ্ববাজারের চাহিদা, নিত্য নতুন ফ্যাশন এবং গ্রাহকদের মনোভাবের পরিবর্তন সম্পর্কে সঠিক ধারণা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। বিশ্বের নতুন ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণ, ডিজাইন আপডেট এবং আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী পোশাক তৈরি করলে পোশাক শিল্পের বাজারে অবস্থান শক্তিশালী হবে। সরকারের কাছ থেকে পোশাক শিল্পের জন্য কর ছাড়, বীমা এবং রপ্তানি সহায়তা পেলে শিল্পটির সার্বিক উন্নতি সম্ভব হবে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী এবং টেকসই অবস্থানে পৌঁছাবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন- সরকার, উদ্যোক্তা এবং শ্রমিকদের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা দায়িত্ব পেলে সেই কাজগুলো করে এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
এনটিভি অনলাইন : বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে পোশাক শিল্পে বাড়ছে ব্যয়। ভবিষ্যতে সংকট সমাধানে প্রয়োজনীয় কী কী পদক্ষেপ নেবেন আপনি?
আবুল কালাম : বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট দেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংকটের ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তৈরি পোশাক খাতের জন্য, যেখানে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলা মেনে চলা জরুরি, সেখানে এই সংকটে আরও জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংকটের কারণে অনেক পোশাক কারখানাকে উৎপাদন কমাতে হচ্ছে। শিফট পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, আর ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। অনেক কারখানা এমনকি রাতের বেলা উৎপাদন চালানোর জন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উপায় খুঁজছে। অপরদিক গ্যাসের সংকটও এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ গ্যাসের উপর নির্ভরশীল অনেক মেশিন চালাতে হচ্ছে, যা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে। পোশাক শিল্পের উৎপাদন খরচের একটি বড় অংশ গ্যাসে চলে যায়, এটি সংকটে পড়লে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়। পোশাক শিল্পের সংকট কমানোর জন্য বেশকিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট কমাতে সরকারের সাথে কাজ করবো। আশা করছি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট কমাতে সরকার প্রয়োজনীয় সব সহায়তা করবে।
এনটিভি অনলাইন : ডলারের মূল্য নিয়ে অস্থিরতা চলছে, এটা কিভাবে এই শিল্পে প্রভাব ফেলছে? ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার ঘোষণাকে কিভাবে দেখছেন?
আবুল কালাম : দেশে ডলারের অস্থিরতা এখন অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাকার মান কমে যাওয়ায় মুদ্রাস্ফীতি ও বৈদেশিক ঋণের চাপ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যেমন সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি ঝুঁকিও রয়েছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি নির্ভর জ্বালানি, কাঁচামাল ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়বে। এর প্রভাব পড়বে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ে। অন্যদিক রপ্তানিকারকরা লাভবান হলেও রেমিট্যান্সে প্রবাসীরা ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারের বেশি রেট পাওয়ার আশায় হুন্ডির দিকে ঝুঁকছেন। এই ব্যবস্থায় রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়তে পারে। তবে বৈধ পথে প্রবাসী আয় কমে যাবার সম্ভবনা রয়েছে। এই অস্থিরতা কমাতে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের উৎসাহ বাড়ানো, অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত করা এবং আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারকে আরও কার্যকর করা জরুরি। একইসঙ্গে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করাও সময়ের দাবি।
এনটিভি অনলিইন : অতীতে বিজিএমইএ’র নেতারা সরকারের চাটুকারিতায় মেতেছিলেন। দায়িত্ব পেলে এই সংস্কৃতি থেকে আপনি বেরিয়ে আসবে পারবেন?
আবুল কালাম : অতীতে বিজিএমইএর নেতৃত্বে থাকা অনেকেই সরকারের নির্লজ্জ চাটুকারিতায় জড়িয়ে পড়েছিলেন অভিযোগ আছে। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অনেক সৎ ও সচেতন সদস্য বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। আমি দায়িত্ব পেলে গড়ে তুলবো চাটুকারমুক্ত ও নীতিনিষ্ঠ বিজিএমইএ। বিজিএমইএ কোনো ব্যক্তির প্রশংসার মঞ্চ নয়, এটি পেশাদার সংগঠন, যেটি দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই এখানে শিল্পের স্বার্থই সর্বাগ্রে থাকবে।
এনটিভি অনলাইন : বিজিএমইএর নেতৃত্বে এলে হয়রানির শিকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
আবুল কালাম : সম্প্রতি তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বহু ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের হয়রানি ও মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। দায়িত্ব পেলে ক্লিন ইমেজের ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা আছে। কারণ মামলা শুধু ব্যক্তিগত সমস্যা নয়, এটা পুরো শিল্পের সুনাম ও স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলছে। আমার লক্ষ্য হবে, বিজিএমইএর সদস্যদের জন্য একটি নিরাপদ, ন্যায়সঙ্গত এবং সহনশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
এনটিভি অনলাইন : সম্প্রতি ৫০০টির বেশি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছে লাখের ওপরে শ্রমিক। বন্ধ কারখানাগুলো চালু করতে আপনি কী কী পদক্ষেপ নেবেন?
আবুল কালাম : বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, যা দেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি এবং প্রায় অর্ধকোটি শ্রমিকের কর্মসংস্থানের উৎস, বর্তমানে গভীর সংকটে রয়েছে। গত এক বছরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, শ্রমিক আন্দোলন, বৈশ্বিক অর্ডার কমাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সম্প্রতি ৫০০টিরও বেশি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। যার ফলে লাখো শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। দায়িত্ব পেলে আমার কাজ হবে সরকারের কাছ থেকে স্বল্পসুদে ঋণ ও কর ছাড় নিয়ে হলেও বন্ধ কারখানাগুলো পুনরায় চালু করা। চেষ্টা থাকবে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়ানোর। শ্রমিকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান বের করবো। যাতে শ্রমিকদের জীবিকা নিশ্চিত করা যায় এবং দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়।
এনটিভি অনলাইন : সম্মিলিত পরিষদের লিডার আপনি। আপনার নেতৃত্বে সদস্যরা নির্বাচনমুখী হচ্ছেন, নির্বাচনকালীন সময়ে তাদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী হবে?
আবুল কালাম : আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সম্মিলিত পরিষদের লিডার হিসেবে বলতে চাই, এটা শুধু একটি নির্বাচন নয়—এটি আমাদের নীতি, সেবা এবং সম্মিলিত বিজয়ের একটি লড়াই। এই লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে। একইসঙ্গে বিজিএমইএ সদস্যদের আস্থা অর্জনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে ও আন্তরিকতা থাকতে হবে।
এনটিভি অনলাইন : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আবুল কালাম : ধন্যবাদ এনটিভি অনলাইনকে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সাংবাদিকদের সামনে নিজের দলের ১২ দফা নির্বাচনি ইশতেহার তুলে ধরে সম্মিলিত পরিষদের লিডার আবুল কালাম। এ সময় তিনি বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি নির্বাচনি ইশতেহার নয়, এটি হলো সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী রোডম্যাপ, যা পোশাক শিল্পকে একটি স্মার্ট ও ফিউচার ফিট শিল্পে রূপান্তর করবে।
১২ দফা ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে- এসএমই সাপোর্ট সেল ও নীতি সহায়তা; বিদ্যুৎ-জ্বালানি নিরাপত্তা ও বিকল্প প্রণোদনা প্যাকেজ; ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ এর তৈরি পোশাক খাতের কর্মীবাহিনী: মধ্য-পর্যায়ের ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা উন্নয়ন; অর্থায়ন সহজীকরন: গ্রীন ফান্ডিং ডেস্ক ও ব্যাংকিং সহায়তা ডেস্ক; বাজার ও পণ্যের বৈচিত্রকরণ: প্রচলিত দেশের বাইরেও বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানো; এলডিসি পরবর্তী প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শক্তিশালীকরণের জন্য বিকল্প প্রনোদনা নীতি; বানিজ্য সহায়তা ও এনবিআর সংস্কার: বন্ড সুবিধা, ভ্যাট সরলীকরণ ও নিয়ন্ত্রক সহজীকরণ; রপ্তানি সহায়তা ওয়ান-স্টপ সাপোর্ট সেল, নীতিনির্ধারণ বুদ্ধিমত্তা সেল ও ডিজিটাল রুপান্তর সেন্টার; সামাজিক নীতিপালন উন্নয়ন কর্মসূচি- ইউনিফাইড কোডি অব কনডাক্ট বাস্তবায়ন; ব্যবসায়িক সম্ভাবনার সাথে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের সবুজ রুপান্তর: সার্কুলারিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডিকার্বোনাইজেশন ও প্রতিযোগিতামূলক শ্রেষ্ঠত্ব; ‘মেইড ইন বাংলাদেশ- প্রিমিয়ার এডিশন’: বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের নতুন অবস্থান ও পরিচিতি; অ্যাপারেল ডিপ্লোম্যাসি ও দ্বায়িত্বশীল এক্সিট পলিসি।