বাংলাদেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা জোরদারের লক্ষ্যে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি নতুন উন্নয়ন সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। আজ শনিবার (২১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন এই অর্থায়নের মাধ্যমে ২০২৫ বছরে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের মোট প্রতিশ্রুতি দাঁড়াল তিন দশমিক শূন্য সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

গভর্নেন্স ও প্রাতিষ্ঠানিক সহনশীলতা জোরদার নীতিগত ঋণ কর্মসূচি শীর্ষক এই নতুন অর্থায়ন কার্যক্রমটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ সহায়তা করবে। এর মধ্যে আছে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, আর্থিক খাতের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা জোরদার এবং সরকারি ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, সরকার তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও উন্মুক্ত এবং জবাবদিহিতামূলক করার জন্য উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেন তারা জনগণকে আরও ভালো সেবা দিতে পারে। এই অর্থায়ন সরকারের নীতিমালা এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে যাতে একটি শক্তিশালী, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে তোলা যায়। যা সবার উপকার করে। গত সপ্তাহে অনুমোদিত আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে, আমরা এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করছি।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব শর্মা বলেন, এই অর্থায়ন বাংলাদেশের নাগরিকদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে রাজস্ব আহরণ, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা এবং সরকারি সেবার মানোন্নয়নে সরকারের সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে গতি আসবে।