পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টকে গুরুত্ব দিতে আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/07/15/shikssaamntrii.jpg)
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার অ্যাসাইনমেন্টকে গুরুত্ব দিতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।
ডা. দীপু মনি বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে দুটি করে মোট ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। অন্যদিকে, এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে দুটি করে মোট ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। এগুলো যথাযথভাবে করলে তারা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবে। সুতরাং শিক্ষকদের সঠিক মূল্যায়ন যেমন জরুরি, তেমনি শিক্ষার্থীদেরও এ বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। অভিভাবকেরাও তাঁদের সন্তানের এই অ্যাসাইনমেন্টকে গুরুত্ব দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড সংক্রমণের হার যে ঊর্ধ্বগতি, তা কমে এলেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে আসার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের নানা সুফল রয়েছে। সে সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু, এখন করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। পরিস্থিতিতে অনুকূলে এলে এবং সংক্রামণের হার কমে গেলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে তাদের ফিরিয়ে নিতে পারব।’
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনুকূলে এলে চলতি বছরের নভেম্বরে এসএসসি বা সমমানের এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রুপভিত্তিক শুধু তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, পূর্বে সংক্ষিপ্ত আকারে দেওয়া সিলেবাসের আলোকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পূর্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পরীক্ষা হবে না। সেসব বিষয়ের ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। আবশ্যিক বিষয়গুলোর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।
এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষাগুলোর সময়সীমাও কমবে এবং নম্বরের ক্ষেত্রেও সমন্বয় করা হবে।