বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করল কুবি

একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের স্মরণ করল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) পরিবার। তারা একুশের প্রথম প্রহরে বিনম্র শ্রদ্ধায় মাতৃভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী বীর সন্তানদের স্মরণ করেন।
এ সময় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। এ ছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পৌনে ১১টার দিকে শহীদ মিনারে পৌঁছায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। ১২টা ১ মিনিটে উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, এরপরে বিভিন্ন হল ও বিভাগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জনানো হয়। তারপর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনগুলো শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, 'একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে সবার মাঝে যে চরম উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখেছি এটা দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি। নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য রক্ত দিয়েছে, এমন জাতি পৃথিবীতে একটাই আছে। এজন্য সারা পৃথিবীর মানুষ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে মেনে নিয়েছে। জুলাই বিপ্লবেও অসংখ্য মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এই আত্মত্যাগের উদ্দেশ হলো একটাই, জনহিতকর সরকার। যেকারণে বাংলার মানুষ বারবার জীবন দিয়েছে তার মূল উদ্দেশ হলো যত অনিয়ম আছে তা দূর করা।'
ভাষা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'যাদের আত্মত্যাগের কারণে মাতৃভাষা পেয়েছি তাদের সকলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। একইসঙ্গে যারা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দিয়েছে তাদেরও আত্মার দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করছি।'