নিকাব-হিজাব পরা শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তে ঢাবির নতুন নির্দেশনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নিকাব ও হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় নারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা রক্ষার লক্ষ্যে গৃহীত এ সিদ্ধান্তে প্রয়োজনে নারী সহকারী প্রক্টরের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে বায়োমেট্রিক বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে ডিনস কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত পছন্দের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে নারী শিক্ষক বা কর্মীরা নিকাব পরিহিত শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তে সহায়তা করবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাংলা বিভাগের পরীক্ষাকালে তামান্না নামের এক শিক্ষার্থীর নিকাব খোলার অনুরোধ করেছিলেন একজন শিক্ষক। বিভাগীয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়, তবে তামান্না নিকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে এক নারী শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তামান্না সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘ধর্মীয় পোশাকের কারণে পরিচয় শনাক্তকরণের বাধ্যবাধকতা আমাদের গোপনীয়তা ও অধিকারের পরিপন্থী।’