ক্লাসে ফেরেননি কুয়েট শিক্ষকরা, হতাশ শিক্ষার্থীরা

দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ রোববার (৪ মে) থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ক্লাসে ফেরেননি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা। এদিকে দীর্ঘদিন পর একাডেমিক কার্যক্রম চালু হলেও ক্লাস শুরু না হওয়ায় হতাশ শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেলেও একাডেমিক কার্যক্রম চালু না হওয়ায় ক্যাম্পাসের প্রাণচাঞ্চল্য এখনও ফেরেনি।
রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন একাডেমিক ভবনগুলো খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই। উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনকল্পে সকাল সাড়ে দশটায় অন্তর্বর্তী উপাচার্য অধ্যাপক ড. হযরত আলী প্রশাসনিক ভবনের সভা কক্ষে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনায় বসবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদেরও দাবি ছিল সব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক। বিচারের যে প্রক্রিয়া এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আমরা চাই ক্লাস শুরু হয়ে যাক, পাশাপাশি বিচার প্রক্রিয়াও চলতে থাক। আমরা শিক্ষকদের কাছে প্রয়োজনে ক্ষমা চাইবো।
শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম আরও বলেন, নতুন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অন্যায়ভাবে যারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি ঢুকাতে চেষ্টা করেছে, যারা দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীকে আহত করেছে, তদন্তের মাধ্যমে এটার সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার হোক, এটা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর দাবি।
শিক্ষক সমিতি ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, ভিসিসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছনাকারীদের সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসেন এনটিভিকে জানান, তারা শিক্ষক লাঞ্ছিত ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। এই মুহূর্তে তাদের মিটিং চলছে।
আগামীকাল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা হবে। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত কেউ ক্লাসে যাচ্ছেন না।