ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে জুলিয়াস সিজারের রিট খারিজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত চেয়ে জুলিয়াস সিজারের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে নির্বাচনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানির আবেদন করলে আদালত কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার। একইসঙ্গে রিট আবেদনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় তার নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়। ডাকসু নির্বাচনের পাশাপাশি ডাকসু হল সংসদ নির্বাচনও স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে।
রিট আবেদনে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ও ব্যালট নম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
ডাকসু নির্বাচনে জুলিয়াস সিজার তালুকদার ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। চূড়ান্ত তালিকায় ভিপি প্রার্থী হিসেবে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ছিল। তার ব্যালট নম্বর ছিল ২৬।
চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের হাউজ টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি হয়। কিন্তু নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনাল তার প্রার্থিতার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না দিয়ে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠায়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর বাদ দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জুলিয়াস সিজার তালুকদারকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৭ আগস্ট চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। এতে কাজ না হওয়ায় প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার।