দীর্ঘ বিরতির পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ভোট ২৫ সেপ্টেম্বর

দীর্ঘ সাত বছর পর সাভারের আশুলিয়ার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো গকসু নির্বাচন হয় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছিল গকসুর তৃতীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ। তবে মেয়াদ চলাকালীন প্রায় ৮ মাস সংসদের কার্যক্রম স্থগিত রাখে প্রশাসন। এরপর ১৯ মাস পর শপথ নিলেও ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেই কমিটি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরপর দীর্ঘ সময় স্থবির হয়ে ছিল গকসুর কার্যক্রম। প্রায় সাত বছর পর চতুর্থবারের মতো নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ১১ আগস্ট প্রকাশিত হয় তফসিল। মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয় ২৬ থেকে ২৮ আগস্ট। প্রাথমিক বাছাই শেষে ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা। আপিল ও শুনানি শেষে ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের ডোপ টেস্টও সম্পন্ন হয়েছে। কোনো প্রার্থীর রিপোর্ট পজিটিভ হলে তার প্রার্থীতা বাতিল হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা চার হাজার ৪৬২। গকসুর ইতিহাসে এবারই সর্বাধিক ৮৭ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে আছেন ৬৩ জন।
সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ৯ জন প্রার্থী। তারা হলেন— রাজিব হোসেন (ফলিত গণিত), আবু সুফিয়ান মুছা (ভেটেরিনারি), রাকিব (আইন), মো. আব্দুল মাজেদ সালাফি (ভেটেরিনারি), মো. রিফাত হোসাইন (আইন), নাসিম (রসায়ন), শেখ খোদারনূর ইসলাম (আইন), ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান (বাংলা) ও মো. নির্জন (আইন)।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার জন প্রার্থী— মো. রায়হান খান (ভেটেরিনারি), আফসানা মিমি (এমপিবিএমই), মো. অন্তু দেওয়ান (আইন) ও রিদুয়ানুল ইসলাম মানিক (বিএমবি)।
আসন্ন নির্বাচনে ব্যালট যুদ্ধকে ঘিরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সমর্থকরা প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ, স্লোগান তোলা, প্রতিশ্রুতি পৌঁছে দেওয়া—সবকিছুতেই সরব উপস্থিতি রাখছেন। ভোটারদের মধ্যেও কৌতূহল ও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।