বিআইডাব্লিউটিসিতে যুক্ত হলো দেশে নির্মিত দুটি ওয়েল ট্যাংকার
দেশে প্রথম নির্মিত দুটি ওয়েল ট্যাংকার ‘ওটি সাফা’ ও ‘ওটি মারওয়া’ বিআইডাব্লিউটিসিতে যুক্ত হয়েছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায়। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ ট্যাংকার দুটিসহ একটি ফ্লোটিং ওয়ার্কশপের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জানান, জ্বালানি তেল পরিবহণের জন্য বছরে বিআইডাব্লিউটিসির প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা খরচ হতো। এ ট্যাংকার দুটো যুক্ত হওয়ায় সেই খরচ এক চতুর্থাংশ কমে আসবে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দুটো ট্যাংকারে প্রাথমিকভাবে সংস্থাটির মালিকানাধীন বিভিন্ন নৌযানের জ্বালানি তেল পরিবহণ করা হবে। পাশাপাশি চাইলে তেল পরিবহণের জন্য ভাড়াও দেওয়া যাবে।’
এ সময় শিপিং ব্যবসার ক্ষেত্রে দেশ ও নদীর স্বার্থ রক্ষার নির্দেশনা দিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিপ বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম জোগানদাতা হতে পারে শিপবিল্ডিং। তবে সেখানে আমাদের কমিটমেন্ট থাকতে হবে।’
সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুটি ওয়েল ট্যাংকারের ধারণ ক্ষমতা ছয় লাখ করে মোট ১২ লাখ লিটার তেল। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৫০ হর্স পাওয়ারের সুইডেনের স্ক্যানিয়া ইঞ্জিন। কম গভীরতায়ও চলবে এ দুটো জাহাজ। এগুলো আপাতত চলবে মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ ও মাদারীপুর রুটে।
এদিকে দুই কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফ্লোটিং ওয়ার্কশপে বিআইডব্লিউটিসির নৌযান মেরামতের কাজ করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতান আব্দুল হামিদ, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন, বিআইডাব্লিউটিসির চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদিক, জাহাজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান থ্রি অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।