পদ্মা সেতুতে আঘাত হলে দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত হয় : নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুর কোথাও আঘাত হলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত হয়। যদিও এ ধরনের আঘাতে সেতুর তেমন কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তারপরও মানুষের হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমরা বিব্রতবোধ করছি।’ একাধিক বার পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে ফেরির ধাক্কা প্রসঙ্গে আজ শুক্রবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) জাহাজ বড়ালে চড়ে পদ্মা সেতুর এলাকা এবং মাদারীপুরের মাঝিকান্দি ঘাট ঘুরে দেখেন।
সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে আঘাতের ঘটনা যেন বার বার না ঘটে, সে বিষয়ে করণীয় নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে একটি সভা হবে আজ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী, জাজিরা ক্যান্টনমেন্টের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল প্রমুখ।
পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আজ শুক্রবার আবারও ধাক্কা দিয়েছে একটি ফেরি। বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে আজ সকাল ৭টার দিকে ফেরি কাকলি ধাক্কা দেয়।
বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, ফেরিটির পদ্মা সেতুর ১১ ও ১২ পিলারের মধ্য দিয়ে আসার কথা। কিন্তু, সেটি নদীর প্রচণ্ড স্রোত ও বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরিটির বাইরের অংশের একটু ক্ষতি হয়। এ ছাড়া আর কিছু হয়নি। ধাক্কা লাগা অংশটি পানির স্তরের ওপরে থাকায় ফেরিতে পানি ওঠেনি। পদ্মা সেতুর পিলারেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।
সাফায়েত আহমেদ আরও জানান, ধাক্কা লাগার পর ফেরিটি নিরাপদে শিমুলিয়া ঘাটে এসেছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগেও তিন বার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসার পথে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে ফেরি। গত ২০ ও ২৩ জুলাই ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ আগস্ট ১০ নম্বর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগে। এসব ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি), তদন্ত কমিটি গঠনসহ ফেরি চালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।