পদ্মা সেতুর মর্ম জানে না বিএনপি : ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, পদ্মা সেতু কি, সেটি জানে সন্তানহীন মায়েরা, যারা সন্তানের লাশ নিয়ে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। জানেন ওই প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা, যারা ফেরি পার হতে না পেরে প্লেনের ফ্লাইট মিস করেছিল। জানে গরিব কৃষক, খুদে ব্যবসায়ীরা। যারা সময়মতো ফেরি পার হতে না পারায় তাদের উৎপাদিত কাঁচা তরকারি নষ্ট হয়েছিল। সব ভুক্তভোগীরাই জানেন এ পদ্মা সেতুর মর্ম। একমাত্র জানেন না খালেদা জিয়া ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।
প্রাচ্যের কলকাতা খ্যাত মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে কমলাঘাট বন্দরে আজ শনিবার দুপুরে সামরীন এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ সহজ ছিল না। এটি একটি কষ্টসাধ্য বিষয় ছিল। দুঃসাধ্য ছিল। অবাস্তব ছিল। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাস্তবকে বাস্তবে পরিণত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তিনি সেটি বাস্তবায়ন করেছেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করেছেন। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকে দেখিয়েছেন। বাংলাদেশও পারে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বানানো পদ্মা সেতু জোড়াতালির। কেউ তাতে উঠবেন না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারা একটা নয় দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় একটি কালভার্ট তারা নির্মাণ করতে পারেননি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। সে অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তাদের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। শুধু দক্ষিণ অঞ্চল নয়, সারা দেশের উপর এর প্রভাব পড়বে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন আর কেউ খালি পায়ে থাকে না। কাউকে না খেয়ে মরতে হয় না।
সামরীন এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ও সাবেক মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইভিন্স গ্রুপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার উল আলম চৌধুরী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আনিসুজ্জামান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিনহাজ-উল-ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূইয়াসহ মিরকাদিম এলাকার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।