ইন্টারনেট উদ্যোক্তা আবেদ সরকারের এগিয়ে যাওয়ার গল্প
প্রথম মাসে কোনো আয় ছাড়াই শুরু করেছিলেন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। চার বছর পর এখন মাসে গড়ে তিনি আয় করেন লাখ টাকা। বলা হচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবেদ সরকারের কথা। আবেদের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায়। আবুল সরকারের ছেলে তিনি।
অনলাইনে ঘরে বসেই সব কাজ তাঁর। কখনো বিদেশি গ্রাহকের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিচ্ছেন। কখনও টিম মেম্বারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণদের শেখাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং। আবেদের দেখানো পথে হেঁটে এলাকার অনেক তরুণ-তরুণী স্বাবলম্বী হয়েছেন।
আবেদ জানান, ২০১৭ সালে কৌতূহলে তিনি অনলাইনে আয়ের বিষয়ে আগ্রহী হন। শুরুর অভিজ্ঞতা খুব ভালো ছিল না। প্রথমদিকে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। তবে দীর্ঘ পাঁচ বছর কঠোর পরিশ্রম করে এখন তিনি সফল ফ্রিল্যান্সার।
আবেদ বলেন, ‘জীবনে অনলাইনে প্রথম মাসে কোনোই আয় ছিলো না। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় মাস থেকেই আমার আয়ের পথ খুলেছে। কিছুদিন পরে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিতে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। এর মাধ্যমে লিড জেনারেশন, ডাটা এন্ট্রি, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট, ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস দিচ্ছি। এখন মাসে আয় লাখ টাকা পার হয়ে যায়। করোনাকালে পৃথিবী যখন থমকে গিয়েছে, একটুও থেমে থাকিনি। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেছি নিজের সঙ্গে, প্রতিদিন নিজেকে গড়ে তুলেছি। পরিশ্রম করেই নিজেকে দক্ষ করে তুলেছি। একটা কথা আছে পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। এখন কথাটি সত্য মনে হয়।’
আবেদ আরও বলেন, ‘বর্তমানে চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন। হাজার হাজার বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছেন, অথচ অনলাইনে প্রচুর কাজ। এখান থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তাই চাকরির পেছনে না ঘুরে সঠিক পথে পরিশ্রম করে কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।’
যারা কাজ শিখতে চান তাদের উদ্দেশে আবেদ বলেন, ‘প্রথমে শেখার মানসিকতা থাকতে হবে। ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। শুধু ক্লিক করে টাকা ইনকাম করা যায় না। এমন একটা কাজ শিখতে হবে যাতে কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু কাজের চাহিদা বাড়তে থাকবে। আমার ক্ষেত্রে দীর্ঘ রাত জাগা পরিশ্রমের পর যখন আয়ের পথ খুঁজে পেলাম এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’