ইউএনওর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলমের বিরুদ্ধে মৃত মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলমের পরিবারের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, অবমুল্যায়ন ও হয়রানির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব মিলনায়তেন ভুক্তভোগীর পরিবার এ সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৃত খোরশেদ আলমের ভাগিনা শাহজালাল। এ সময় খোরশেদ আলমের বোন জহুরা বেগম, ফাতেমা বেগম, মাকসুদা বেগম, স্থানীয় প্রতিনিধি ও কাজী মো. আবুল হাসেম, শরাফত আলীসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম নিঃসন্তান হিসেবে ১৯৯৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তাঁর মৃত ছোট ভাইয়ের ছোট ছেলে ইয়াছিন মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেকে খোরশেদ আলমের ছেলে দাবি করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিসহ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তুলতে শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে খোরশেদ আলমের পাঁচ বোন আপত্তি উত্থাপন করে নীতিমালা অনুযায়ী বোনদের নামে সমহারে ভাতা প্রদানের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ইউএনও অফিসের একটি চক্র এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং তারা নানাভাবে তাদের হয়রানি করছে। একই ব্যক্তি কীভাবে তিনবার ওয়ারিশান সনদ নিয়েও যাচাইয়ের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে দীঘিনালার ইউএনও মুহাম্মদ আরাফাতুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেন।