মানবতাবিরোধী অপরাধীরা যেন নির্বাচন করতে না পারে : বদিউল আলম
মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছে, যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করেছে, তারা যেন নির্বাচন করতে না পারে—এমন সুপারিশ নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) টক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
বদিউল আলম বলেন, ‘যারা দেড় হাজার মানুষ হত্যা করেছে, গুম ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তারা আবার দেশ শাসন করুক, অধিকাংশ মানুষ সেটি চায় না।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘বিভিন্নভাবে গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড যারা করেছে, তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে, সেই সুপারিশ নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই, যে অন্যায় করেছে, তারা যেন বিচারের আওতায় আসে। আমরা সুপারিশ করেছি, এটা গৃহীত হবে কি হবে না, তা সরকার বুঝবে।’
বদিউল আলম বলেন, ‘গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সংবিধানে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বাইরে কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনারেরা তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। সে জন্য আমরা বলেছি, একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করার জন্য। তারা তদন্ত করে দেখুক। তাদের অপরাধ প্রামানিত হলে বিচারের আওতায় আনুক।’
বদিউল আলম আরও বলেন, ‘নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, সে জন্য আমরা পরিবর্তনগুলো চাই। নির্বাচন কমিশনারদের দায়বদ্ধতা থাকবে। নির্বাচনের পরে গেজেট প্রকাশ করার আগে কমিশন সার্টিফাই করবে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কিনা, না হলে সেটাও বলবেন। তাদের এই সার্টিফাই করাতে যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হয়, তিনি আদালতে যেতে পারবেন। তখন তদন্ত হবে। এগুলো করার অর্থ হচ্ছে গত তিনটা নির্বাচনের মতো নির্বাচন করে কেউ যেন পার পেয়ে যেতে না পারে।’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্ত করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা কারচুপিতে সহায়তা করেছে তাদের বিচার করা হোক। তখনকার কমিশন অন্যায় করলে তাদেরও বিচার হবে। কেউ চায় না অতীতের জায়গায় ফিরে যাক। অতীতের কারচুপির নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি চাই না। নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত করতে হবে।’