উত্তরা পশ্চিম থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের
রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের হাতে তিন ছাত্র আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তরা পশ্চিম থানা ঘেরাও ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
রাতে উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আহম্মেদ আলী এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহম্মেদ আলী বলেন, প্রথমে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তিন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ আটক করে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উত্তরা পূর্ব থানায় যায়। সেখানে থেকে শিক্ষার্থীরা উত্তরা পশ্চিম থানায় যায়। গিয়ে প্রথমে থানা ঘেরাও করে। পরে বাইরে থেকে থানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ইটপাটকেল নিক্ষেপের এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় কর্তব্যরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মহাদেব আহত হয়।
আহম্মেদ আলী বলেন, শুনেছি বিকেলে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম এভিনিউ সড়কে উত্তরা পশ্চিম থানা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। মিটিং থেকে আকাশ, রবিন ও বাপ্পি নামের তিন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও নাগরিক কমিটির লোকজন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আকাশ, রবিন ও বাপ্পিকে পুলিশ আটক করে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যায়। পূর্ব থানায় আমরা গিয়ে জানতে পারি, তিন ছাত্রকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ আটক করে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের হেফাজতে রেখেছে। এতে উত্তেজিত ছাত্ররা উত্তরা পশ্চিম থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। সেই সঙ্গে থানার গেটে হামলা চালিয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, থানায় হামলার পর উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আহম্মেদ আলী, উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা ছুটে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরবর্তীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উত্তরা পূর্ব থানার কম্পিউটার ল্যাব রুমে আলোচনায় বসে পুলিশ। সেই সঙ্গে পুলিশের আশ্বাসে শান্ত হন শিক্ষার্থীরা।