জামালপুরে কলেজছাত্রী হত্যায় সহপাঠীর মৃত্যুদণ্ড
জামালপুরে কলেজছাত্রী মমতাজ বেগম মিমি হত্যা মামলায় তাঁর সহপাঠী মাহমুদুল হাসানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. সায়েদুর রহমান আসামি মাহমুদুল হাসানকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার জরিমানার আদেশ দেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে,২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিশারিজ কলেজের ছাত্র আসামি মাহমুদুল হাসান মহিলা হোস্টেলের বার্থরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে ১০৩ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে সহপাঠী মমতাজ বেগম মিমিকে ছুরিকাঘাত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পরই অন্য শিক্ষার্থীরা আসামি মাহমুদুল হাসানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এই ঘটনায় হোস্টেল সুপার ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে ওইদিনই মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত একমাত্র আসামি মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়।
নিহত মমতাজ বেগম মিমির বাবা নাম এস এম এ মান্নান। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার চরপাড়া (নয়াপাড়া) এলাকায়। আর আসামি মাহমুদুল হাসানের বাড়ি একই জেলার কোতোয়ালি থানার কেওয়াটখালী,বলাশপুর এলাকায়। তার বাবার নাম ড. আব্দুল বারী। দুজন শেখ ফজিলাতুন্নেছা ফিশারিজ কলেজের লেভেল ৪ ও সেমিস্টার ২এর শিক্ষার্থী।
সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নির্মল কান্তি ভদ্র। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল করিম শাহজাহান।