জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
জেলার সব নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার রায় জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ জেলার সব নদীর পানি বেড়েছে। আজ বুধবার সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই পয়েন্টে গতকাল মঙ্গলবার যমুনার পানি ছিল বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপরে। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১৬ সেন্টিমিটার।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও সদরের আরো ১৫টি ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলার ছয়টি উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের দেড় লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
টানা বন্যায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দুর্গত অনেক মানুষের ঘরে খাবার নেই। তার ওপর গবাদিপশুর খাবার জোটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত কয়েক দিনে ৯০ টন চাল, তিন হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও দেড় লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল বলে অভিযোগ দুর্গতদের।
এদিকে, বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিতে শুরু করেছে পানিবাহিত নানা রোগ। জামালপুরের সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বন্যাকবলিত এলাকায় ৭৭টি মেডিকেল টিম কাজ শুরু করেছে।