সিরাজগঞ্জে ২৫ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনের ৩১ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের জামানতের মোট পাঁচ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা রয়েছে।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আল-আমিন সিরাজী।
সিরাজগঞ্জ-২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী রুমানা মাহমুদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নব কুমার কর্মকার ও ইসলামী আন্দোলনের মুফতি মহিবুল্লাহ।
সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আবদুল মান্নান তালুকদার, ইসলামী আন্দোলনে আয়নুল হক, জাকের পার্টির আলমগীর হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আহসান হাবিব সুমন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) নূরুল ইসলাম ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মোস্তফা নূরুল আমিন।
সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রহমান, জাকের পার্টির জহির রায়হান ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মুকুল হোসেন।
সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আমিরুল ইসলাম খান আলিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর নূর, স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ আলী আলম, জাতীয় পার্টির মোক্তার হোসেন ও ইসলামী আন্দোলনের লোকমান হোসেন।
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ড. এম এ মুহিত, ইসলামী আন্দোলনের মিসবাহ উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল আলিম মাস্টার, মাসুদুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হবিবুর রহমান।
সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী তাঁর আসনের মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে তিনি জামানত হারাবেন। প্রত্যেক প্রার্থী মনোনয়ন ফরমের সঙ্গে জামানতের ২০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছিলেন। যেহেতু নির্ধারিত ভোটের চেয়ে ওই ২৫ প্রার্থী কম ভোট পেয়েছেন, সেহেতু তাঁরা জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না।