চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি ট্যানারি মালিকদের
কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্যানারি মালিক সমিতির নেতারা বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশীয় শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে চামড়ার দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তারা কিছু জানাননি।
এবারের ঈদুল আজহার পর কোরবানির পশুর চামড়ার ভয়ানক দরপতন ঘটে। কোনো কোনো এলাকায় বিক্রি করতে না পেরে অনেকেই চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেন। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ট্যানারি মালিকরা।
ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ দিচ্ছে। এটা চলতে থাকলে দেশীয় চামড়া শিল্প মারাত্মক হুমকির মুকে পড়বে। আমরা ইতিমধ্যেই এ শিল্পে সাত হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। হাজার হাজার শ্রমিক কাজ এ শিল্পে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। আমাদের বিনিয়োগ ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা পথে বসে যাব।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্যানারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ, সিনিয়র সহসভাপতি ইলিয়াছুর রহমান বাবু, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ও ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম প্রমুখ।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহীন আহমেদ বলেন, কোরবানির চামড়ার দাম কমার পেছনে ট্যানারি মালিকদের কোনো হাত নেই। আমরা এখনো চামড়া কেনা শুরু করিনি। আমরা চামড়া কিনব ২০ আগস্ট থেকে। আমরা সরকার নির্ধারিত মূল্যেই চামড়া কিনব।
শাহীন আহমেদ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে এখন মৌসুমি ব্যবসায়ী ও আড়তদারাই চামড়া কিনে নিচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে আমরা কিনব ২০ আগস্ট থেকে। চামড়া রপ্তানির সুযোগ পেলে আড়তদাররাই সরাসরি বিদেশে চামড়া রপ্তানি করবে। এতে কেউই লাভবান হবে না। লাভ হবে শুধু মধ্যস্বত্বভোগীদের।
আড়তদাররা বলছেন, আপনারা তাদের বকেয়া ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ না করায় তাঁরা এবার চামড়া কিনতে পারছেন না। এ অভিযোগ কতটা ঠিক?
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্যানারি মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, এ অভিযোগ মোটেও ঠিক না। তারা অধিক মুনাফা লাভের জন্যই এ কথা বলছেন।
শাহীন আহমেদ বলেন, বর্তমানে চামড়াজাত পণ্যের ব্যবহার তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। ফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি চামড়ার চাহিদা ও দাম কমে এসেছে।