জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় স্বামীসহ তিন আসামি গ্রেপ্তার
জামালপুরে স্ত্রীর ধর্ষণ মামলায় স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। গতকাল রোববার রাতে জেলার সদর উপজেলার দিগপাইত ও মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন স্বামী সুজন মিয়া (৩৫), নুরনবী (৪০) ও ধর্ষণে সহায়তাকারী রাজিয়া বেগম (৩৫)।
আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানা জানান, সদর উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামের মো. সুজন মিয়া প্রথম স্ত্রী জাহানারা বেগমকে দেড় বছর আগে তালাক দিয়ে চায়না বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছর পর পুনরায় প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রী চায়নাকে তালাক দেন। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী চায়না মেলান্দহে তাঁর বাবার বাড়ি চলে যান।
চলতি বছরের মে মাসে সুজন মিয়া পুনরায় চায়নাকে বিয়ে করেন। এরপর জেলার সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের হাসিল বটতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বামী সুজন মিয়া তাঁর বন্ধুর বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে দ্বিতীয় স্ত্রী চায়নাকে মাদারগঞ্জে প্রথম স্ত্রীর বড় বোন রাজিয়া বেগমের স্বামী নুরনবীর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিতে চাপ দেন সুজন মিয়া কিন্তু তালাকের কাগজে স্বাক্ষর না করায় চায়না বেগমকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে স্বামী সুজন মিয়া প্রথম স্ত্রী জাহানারা বেগম ও তাঁর বড় বোন রাজিয়া বেগমের সহায়তায় প্রথম স্ত্রীর ভাই মিজানুর রহমান ও রাজিয়া বেগমের স্বামী নুরনবী পালাক্রমে চায়নাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর চায়না বেগমকে হাসিল বটতলার ভাড়া বাড়িতে রেখে যান তাঁর স্বামী সুজন মিয়া ও মিজানুর রহমান। এ ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যান।
র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় মাদারগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন ধর্ষণের শিকার চায়না বেগম। পরে অভিযুক্ত নুরনবী, ধর্ষণে সহায়তাকারী স্বামী সুজন মিয়া ও রাজিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।