প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রী জানান, প্রাণভিক্ষার আবেদন দুটি এখন রাষ্ট্রপতির কাছে গেছে। সেখানে তিনি আবেদন দুটি নিষ্পত্তির পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান, সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদ প্রাণভক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। প্রাণভিক্ষার এই আবেদন প্রথমে পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এরপর সেখান থেকে আইন মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যায় আবেদন দুটি।
সেখান থেকে সবশেষে আবেদন দুটি যায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতি এই প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারিক আদালতে যখন তাদের মামলাটি চলছিল তখন তাদের বক্তব্য যেসব এখন রাখছেন, সেগুলো রেখেছিলেন এবং আদালত সেগুলো বিবেচনায় করে, তারপর মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করে তাঁদের বিচারিক আদালত সাজা দেন। সে সাজার বিরুদ্ধে তাঁরা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে আপিল করেন। আপিল বিভাগের আপিল শুনানি আনতে, দুই তরফা শুনানি শেষে নামঞ্জুর হয় এবং সেখানে তাঁরা এসব বক্তব্য রেখেছিলেন। তারপরেও আপিল বিভাগের যে রায়, সেই রায় তাঁরা রিভিউ করেছিলেন। সেখানেও শুনানি হয়েছিল। শুনানির পর আপিল বিভাগ রিভিউ খারিজ করেন। তিনটি আদালতে রায়ের পরে আজকে তাঁদের যেসব দাবি এগুলো হচ্ছে নেহায়েতই একটা পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য দাবি, এর কোনো আইনি যৌক্তিকতা নেই।’
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যে দরখাস্তটা তাঁরা করেছেন সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধানে ৪৯ অনুচ্ছেদের মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার যে ক্ষমতা সে ক্ষমতা প্রয়োগ করার জন্য তাঁরা আবেদন করেছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আবেদন মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির কাছে এটা না পৌঁছা পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমি কোনো কথা বলতে পারি না। দ্বিতীয়ত, আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে কী মতামত দিয়েছি সে ব্যাপারেও তাঁর কাছে কাগজ পৌঁছানোর আগে আমি কিছু বলতে পারি না। কিন্তু তাঁরা যেটা বলছেন, যদি এটা ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করার দরখাস্ত না হতো, তাহলে পরে কি এটা কনসিডারেশনের কোনো কারণ থাকত?’