আপত্তিকর ভিডিও : জামিন পেলেন কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন
একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস হওয়ার পর ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন। বিষয়টি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার ওমেদার মোহাম্মদ সরোয়ার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদ সরোয়ার বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে চিত্তরঞ্জন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। এরপরে ১৪ অক্টোবর জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে জামিন স্থায়ীর আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন স্থায়ীর আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সবুজবাগ থানায় এক নারী বাদী হয়ে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলেন, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন বাদীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের চা দোকানদার নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।
রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দু-চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। এর একটু পরে চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কু-প্রস্তাব দেন। মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি।