Skip to main content
NTV Online

মত-দ্বিমত

মত-দ্বিমত
  • অ ফ A
  • প্রতিক্রিয়া
  • সমসাময়িক
  • বহির্বিশ্ব
  • ব্যঙ্গ রঙ্গে
  • ফিরে দেখা
  • স্মরণ
  • বিদেশি কলাম
  • নগর দর্পণ
  • অতিথি কলাম
  • খেলাধুলা
  • পাঠকের কলাম
  • বিবিধ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • মত-দ্বিমত
ছবি

বিয়ের পিড়িতে জেফ বেজোস - লরেন সানচেজ

জন্মদিনে রুক্মিণী

মি. অ্যান্ড মিসেস মেসি

নিউইয়র্কে পারসা ইভানা

প্রকৃতির কোলে কৌশানী মুখার্জি

মিষ্টি হাসিতে সাবিলা নূর

মায়াবী চোখে কেয়া পায়েল

প্যারিসে রোমান্টিক মুডে মেহজাবীন-আদনান

দেশে দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন

‘কনকা সেরা পরিবার’ সিজন- ৩ চ্যাম্পিয়ন ঢাকার শাহিদিন-ফারহানা পরিবার

ভিডিও
টেলিফিল্ম : তোমাকেই ছুঁতে চাই
টেলিফিল্ম : তোমাকেই ছুঁতে চাই
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৩
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৩
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৪
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৪
প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও : পর্ব ২
জোনাকির আলো : পর্ব ১৩০
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ১৯
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৬২
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০৯:০৯, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০৯:০৯, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আপডেট: ০৯:০৯, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আরও খবর
একুশের বইমেলা : মধুরেণ সমাপয়েৎ
মেলার বর্ধিত সময়েও আসছে নতুন বই
অমর একুশে গ্রন্থমেলা, সময় ও ভিড় দুটোই বাড়ল
‘লেখক ও পাঠকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে’
পাঁচ প্রকাশনা সংস্থার হাতে বাংলা একাডেমির পুরস্কার

সাদাসিধে কথা

ভাষার মাস, বইয়ের মাস : ফেব্রুয়ারি

মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০৯:০৯, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০৯:০৯, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আপডেট: ০৯:০৯, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ফেব্রুয়ারি মাস এসে গেছে। পৃথিবীর সব দেশেই বিশেষ একটা দিবস সেই একটা দিনের মাঝেই আটকে থাকে। আমরা যেহেতু আবেগের জন্য বিখ্যাত তাই একটা দিবসকে স্মরণ করে আমরা সারা মাস ধরে সেটি পালন করি। ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস, আগস্ট মাস শোকের মাস এবং ফেব্রুয়ারি মাস হচ্ছে ভাষার মাস।

আমি অনেককেই বলতে শুনেছি শুধু আমরাই ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি সেটি কিন্তু সত্যি নয়। আসামের বরাক উপত্যকায় বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন করার জন্য ১৯৬১ সালের মে মাসের ১৯ তারিখ ১১জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল তার মাঝে কমলা নামে ১৬ বছরের একটি মেয়ে ছিল যে মাত্র আগের দিন তার ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা শেষ করেছিল।

সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছিল সাউথ আফ্রিকায়। ১৯৭৬ সালের জুন মাসের ১৬ তারিখ প্রায় ৭০০ স্কুলের ছেলেমেয়েকে হত্যা করা হয়েছিল, তাদের ভাষা আন্দোলনকে থামানোর জন্য। পৃথিবীর অনেক ভাষা আন্দোলনের মাঝে আমাদের ভাষা আন্দোলনটি সারা পৃথিবীতেই বিশেষ একটা গুরুত্ব পেয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

আমরা যারা বাংলাদেশের মানুষ তারা জানি আমাদের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনটি দিয়েই আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নের বীজটি বপন করা হয়েছিল।

ফেব্রুয়ারি মাসে ভাষার নানা খুঁটিনাটি বিষয় আমাদের মনে পড়ে। একটা সময় ছিল যখন শুধু কবি-সাহিত্যিক কিংবা ভাষাবিদরা ভাষা নিয়ে কাজ করতেন। এখন সময়ের পরিবর্তন হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রটিতে প্রযুক্তিবিদরা বাংলা ভাষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

কাজেই ভাষার জন্য অবদান রাখার ব্যাপারে আজকাল প্রযুক্তিবিদদের কেউ হেলাফেলা করতে পারে না। সত্যি কথা বলতে কি একটা ভাষা পৃথিবীতে কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা পরিমাপ করার জন্য প্রযুক্তিবিদদের কাছে যেতে হয়। একটা ভাষায় তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক মানুষ কথা বলার পরও সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভাষা হিসেবে পরিচিত হতে পারে (উদাহরণ ফরাসি ভাষা) আবার একটা ভাষায় তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি মানুষ কথা বলার পরও সেই ভাষাটি পৃথিবীতে কম গুরুত্বপূর্ণ ভাষা হিসেবে পরিচিত হতে পারে (উদাহরণ বাংলা ভাষা)।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা যখনই বাংলা ভাষা নিয়ে কথা বলেন তারা ভাষাটিকে কম সমৃদ্ধ (Low Resource) ভাষা হিসেবে বর্ণনা করেন। সে কারণে ভাষাটি এখনো তথ্যপ্রযুক্তিতে পুরোপুরি সম্পৃক্ত হতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাত্র ভাষা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে।

এই ভাষার রিসোর্স বাড়ানোর জন্য কিংবা ভাষাটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তির কিছু প্রয়োজনীয় কলকব্জা তৈরি করার জন্য সরকার থেকে বেশ বড় একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই উদ্যোগটি সফল হলে বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় মাল মসলা কিংবা প্রয়োজনীয় কলকব্জা আমাদের হাতে চলে আসার কথা।

১৬০ কোটি টাকার সেই উদ্যোগটি সত্যি সত্যি হাতে নেওয়া হলে আমরা এর মাঝে অনেক কিছু পেয়ে যেতাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কিছুই পাইনি, এমনকি মাঝেমধ্যে সন্দেহ হতে শুরু হয়েছে সত্যিই কিছু পাব নাকি অসমাপ্ত প্রজেক্ট হিসেবে টাকাটা ফেরত যাবে, না হয় নষ্ট হবে!

আমরা যারা বাংলা নিয়ে কাজকর্ম করি তারা সবাই জানি তথ্যপ্রযুক্তি জগতের মহাশক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ‘গুগল’ বাংলা ভাষা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং আমরা হাভাতের মতো তাদের কাজের ওপর নির্ভর করে আছি। শুধু যে নির্ভর করে আছি তা নয়, প্রয়োজনীয় তথ্যউপাত্ত দিয়ে তাদের সাহায্য করে যাচ্ছি।

কিন্তু এই প্রযুক্তিগুলোর জন্য আমরা যদি তাদের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করে থাকি তাহলে আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তি কখনোই দাঁড়াবে না। কাজেই বাংলা ভাষার প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের আরো অনেক বেশি আগ্রহী হতে হবে। আমাদের মাতৃভাষা নিয়ে গবেষণার কাজটি আমাদেরই করতে হবে অন্য কেউ সেটি করে দেবে না। এই বিষয়টা আমরা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারব ততই মঙ্গল।

ভাষা নিয়েই যেহেতু আলোচনা হচ্ছে আমরা এখানে সবাইকে একটি বিষয় মনে করিয়ে দিতে পারি। সবাই কি লক্ষ করেছে আমরা বাংলা কীভাবে লিখব সেটা এখনো ঠিক করতে পারিনি? আমরা যদি বর্ণমালার সব বর্ণ শিখে নিই তাহলেই কিন্তু আমরা পরিপূর্ণ বাংলা লিখতে বা পড়তে পারি না।

পরিপূর্ণ বাংলায় প্রচুর যুক্তাক্ষর আছে এবং বাংলা বর্ণমালার সঙ্গে সঙ্গে এই যুক্তাক্ষরগুলো শেখা হলেই আমরা বাংলা লিখতে এবং পড়তে পারি। আমরা সবাই এই যুক্তাক্ষরগুলোর সঙ্গে পরিচিত, কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে আমাদের স্কুলের পাঠ্যবইয়ে এই যুক্তাক্ষরগুলো কিন্তু ভিন্নভাবে লেখা হয়।

আমরা অনুমান করতে পারি স্কুলের পাঠ্যবইয়ের দায়িত্বে যারা আছে তারা কোনো একটা সময়ে ধারণা করেছে স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য প্রচলিত যুক্তাক্ষরগুলো বেশি ‘কঠিন’ তাদের বিষয়টা আরো সহজভাবে শেখাতে হবে। তাই স্কুলের পাঠ্যবইয়ে যুক্তাক্ষরগুলো ভেঙে লেখা হয়, যুক্তাক্ষরগুলো যে বর্ণগুলো দিয়ে তৈরি হয়েছে সেই বর্ণগুলো পাশাপাশি এবং কাছাকাছি লিখে যুক্তাক্ষর তৈরি করা হয়।

যদি এটা সর্বজনীনভাবে গ্রহণ করা হতো আমাদের কারো কোনো আপত্তি থাকত না, আমরা সবাই মেনে নিতাম। কিন্তু এটি সর্বজনীন নয়, এটি শুধু স্কুলের পাঠ্যবইয়ের জন্য সত্যি। যার অর্থ আমরা স্কুলের ছেলেমেয়েদের পরিপূর্ণভাবে বাংলা লিখতে কিংবা পড়তে শেখাই না।

তারা বিশেষ একটি রূপে বাংলা পড়তে এবং লিখতে শিখে। অন্যভাবে বলা যায় আমরা যখন স্কুলের ছেলেমেয়ের জন্য পাঠ্যবই তৈরি করি আমরা তখন ধরেই নিয়েছি তারা স্কুলের সেই পাঠ্যবইগুলো ছাড়া জীবনেও অন্য কোনো বাংলা বই পড়বে না! এই পাঠ্যবইগুলো ছাড়া অন্য কোনো বাংলা বইয়ে যুক্তাক্ষর এভাবে লেখা হয় না।

কম্পিউটারে বাংলা লেখার জন্য অসংখ্য ফন্ট রয়েছে এবং আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে আরো অনেক ফন্ট তৈরি হবে। কিন্তু যেহেতু পাঠ্যবইয়ে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে বাংলা লেখা হয় সেখানে আমরা যে কোনো ফন্ট ব্যবহার করতে পারি না। পাঠ্যবইয়ে একটি এবং শুধু বিশেষ ফন্ট ব্যবহার করতে হয়।

(আমরা কয়েকজন মিলে ছয়টি পাঠ্যবই লেখার দায়িত্ব নিয়েছিলাম, আমরা মান্ধাতা আমলের পদ্ধতি ব্যবহার না করে আধুনিক ইউনিকোডে লেখার চেষ্টা করেছিলাম বলে আলাদাভাবে সেই বিশেষ একটি ফন্ট তৈরি করিয়ে নিতে হয়েছিল!)

আমি যখন শিক্ষা সংক্রান্ত আলোচনায় কথা বলার সুযোগ পাই অনেকবার এই বিষয়টিতে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারিনি। আমার মনে হয় যারা শিশুদের মনোজগতের বিশেষজ্ঞ এবং যারা শিক্ষার বিষয়টি জানেন তারা সবাই মিলে আলোচনা করে এই ব্যাপারটি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

তারা পরিষ্কারভাবে আমাদের বলতে পারেন প্রকৃত যুক্তাক্ষর না শিখিয়ে ভিন্ন এক ধরনের যুক্তাক্ষর ব্যবহার করে বাংলা শিখিয়ে আমরা তাদের সাহায্য করছি না ক্ষতি করছি। (আমি বিশেষজ্ঞ নই কিন্তু আমি নিশ্চিতভাবে জানি কম বয়সী শিশুরা এক সঙ্গে একটি নয় দুটি নয় পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন ভাষা শিখে ফেলতে পারে। যে শিশুদের মস্তিষ্ক এত জটিল কাজ করতে সক্ষম তারা সত্যিকারের যুক্তাক্ষর ব্যবহার করে বাংলা পড়তে কিংবা লিখতে পারবে না আমার সেটা বিশ্বাস হয় না।)

 

দুই.

আমাদের ফেব্রুয়ারি মাসটি ভাষার মাস, এর বাইরেও তার আরেকটি পরিচয় আছে, সেটি হচ্ছে, এই মাসটি একই সঙ্গে বইমেলার মাস। এই বইমেলাটি যে শুধু বই বিক্রি করার মেলা তা কিন্তু নয়। সব মিলিয়ে যত বই কেনাবেচা হয় তার পরিমাণটুকু খুব বেশি নয় (আজকাল যে কোনো হিসাব হাজার কোটি টাকা দিয়ে করা হয়, কয়েক হাজার কোটি টাকা চুরি হয়ে গেলেও কেউ বিচলিত হয় না!) বই বেচাকেনার পরিমাণ যতই হোক না কেন এই মেলাটির গুরুত্ব কিন্তু অনেক বেশি, এটি আমাদের কালচারের একটা পরিচয়।

মেলা থেকে কোনো বই না কিনেও একজন এখানে আনন্দে ঘুরে বেড়াতে পারে। লেখকরা সারা বছর আলসেমি করে কাটিয়ে দিয়ে মেলার আগে নাক মুখ গুঁজে বই লিখতে বসে। প্রকাশকরা সারা বছর বই প্রকাশ না করে মেলার সময় একসঙ্গে সব বই প্রকাশ করেন। পাঠকরা সারা বছর টাকা জমিয়ে রেখে বইমেলায় এক ধাক্কায় সব বই কিনে ফেলেন। (বইমেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ করে সব বই চোখের আড়াল হয়ে যায়, ইন্টারনেটে বই অর্ডার দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না)।

যতই দিন যাচ্ছে বইমেলার গুরুত্বটি ততই বেড়ে যাচ্ছে তার প্রধান কারণ সারা পৃথিবীতেই মানুষজনের বই পড়ার অভ্যাস চলে যাচ্ছে। আমরা যখন বড় হয়েছি তখন বই ছিল আমাদের প্রধান বিনোদন, আমরা শৈশবে মাঠে দৌড়াদৌড়ি করে খেলেছি বাসায় এসে ঘাড় গুঁজে গল্পের বই পড়েছি।

এখন বিনোদনের কোনো অভাব নেই। একেবারে দুধের শিশুটিও ইউটিউবে কার্টুন দেখতে দেখতে তার দুধের বোতল মুখে দেয়। স্মার্টফোন, নোট প্যাড, ল্যাপটপ আর টেলিভিশনের স্ক্রিনের বিনোদন যত তীব্রই হোক না কেন বই পড়ার সঙ্গে তার কোনো তুলনা নেই। বই পড়া হচ্ছে মানুষের মস্তিষ্কের একটি অসাধারণ প্রক্রিয়া যেটি আমাদের একটা পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়।

মোটামুটিভাবে পৃথিবীর সবাই স্বীকার করে নিয়েছেন নতুন পৃথিবীর সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছেন কল্পনাশক্তি জ্ঞান থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যদি কল্পনা করার ক্ষমতা না থাকে তাহলে দামি একটা কম্পিউটারের জটিল একটা এলগরিদমের সঙ্গে আমাদের মৌলিক পার্থক্যটা কোথায়?

পৃথিবীর প্রত্যেকটা শিশু কল্পনা করার ক্ষমতা নিয়ে জন্ম নেয়, কিন্তু যদি সেটার চর্চা না হয় সেই অমূল্য ক্ষমতাটি একদিন হারিয়ে যায়। মানুষ তখন আর মানুষ থাকে না, তখন শুধু একটা বুদ্ধিমান প্রাণী হয়ে যায়। আমি সেই জন্য বইমেলাটিকে অনেক গুরুত্ব দেই। আমি আশা করে থাকি বাবা-মায়েরা তার শিশু সন্তানদের হাত ধরে বইমেলায় আসবেন। শিশুরা বইমেলার অসংখ্য স্টলে সাজানো হাজার হাজার বই দেখে বুকের মাঝে এক ধরনের শিহরণ অনুভব করবে। নিজের প্রিয় বইটি কিনে বুকের মাঝে চেপে ধরে রেখে বাসায় ফিরে যাবে।

রাত জেগে সেই বইটি পড়ে কল্পনার জগতে হারিয়ে যাবে। একবার যদি বই পড়ার অভ্যাস করে ফেলে তাহলে সারা জীবনের জন্য আমরা তাকে নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারব। সে তখন স্মার্টফোনের জঞ্জালে পা দেবে না, সময় কাটাবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষদের সঙ্গে।

আজ হোক কাল হোক এটি ঘটবেই। একটি সময় আসবে যখন পৃথিবীর মানুষ তার নিজ হাতে তাদের সন্তানদের ইন্টারনেটের কানাগলিতে ঠেলে দেবে না। তাদের হাত ধরে নিয়ে যাবে বইয়ের অপূর্ব বৈচিত্র্যময় কল্পনার জগতে।

লেখক : অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

বইমেলা ২০১৯ মেলার বিশেষ

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. মৃগী রোগ ছিল ‘কাটা লাগা’ অভিনেত্রীর, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই হয় মৃত্যু
  2. বলিউডের ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালি আর নেই
  3. আমিরের ‘সিতারে জমিন পর’ সাত দিনে ১০০ কোটি থেকে আর কত দূরে?
  4. ৫০০ টাকায় শুরু করা কপিল শর্মা এখন শো প্রতি নেন ৫ কোটি
  5. ঝিমিয়ে পড়ল আমিরের ‘সিতারে জমিন পার’, আয় কমে কত?
  6. সিনেমার বাজেট ৯০ কোটি, তিন দিনে ৬০ কোটির ঘরে ‘সিতারে জমিন পার’
সর্বাধিক পঠিত

মৃগী রোগ ছিল ‘কাটা লাগা’ অভিনেত্রীর, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই হয় মৃত্যু

বলিউডের ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালি আর নেই

আমিরের ‘সিতারে জমিন পর’ সাত দিনে ১০০ কোটি থেকে আর কত দূরে?

৫০০ টাকায় শুরু করা কপিল শর্মা এখন শো প্রতি নেন ৫ কোটি

ঝিমিয়ে পড়ল আমিরের ‘সিতারে জমিন পার’, আয় কমে কত?

ভিডিও
প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও : পর্ব ২
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৯
টেলিফিল্ম : তোমাকেই ছুঁতে চাই
টেলিফিল্ম : তোমাকেই ছুঁতে চাই
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৬২
জোনাকির আলো : পর্ব ১৩০
নাটক : প্রেশারম্যান
নাটক : প্রেশারম্যান
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৪
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৪
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৬৬
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x