দৃষ্টিনন্দন ফটিকছড়ির শাহী জামে মসজিদ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়িতে মুঘল আমলে নির্মিত ফকিরপাড়া গায়েবি শাহী জামে মসজিদ। বর্তমানে এটি আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে পুনর্নির্মিত হয়েছে। মসজিদটির মিনারটিকে দূর থেকে দেখলে যে কাউকে মুগ্ধ করে এবং মসজিদের আশপাশের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য এখন পুরো এলাকা ও গ্রামবাসীকে এক নতুন সৌন্দর্য উপহার দিয়েছে। বিশেষ করে মসজিদের নতুন রূপটি অতুলনীয়, যা বহু দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করছে।
মসজিদটি প্রায় এক একর ৬ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এটি নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে আধুনিক লাইটিং ব্যবস্থা, সুন্দর ফুলের বাগানসহ আরও নানা শৈল্পিক কারুকার্য ব্যবহার করা হয়েছে, যা মসজিদের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে। একসঙ্গে প্রায় দুই হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে এই মসজিদে।
আরও পড়ুন : যেখানে দুই দেশের মানুষ নামাজ পড়ে
প্রথমদিকে এটি ছিল একটি ছোট আকারের মসজিদ, যেখানে মুসল্লিরা বিশেষ দিনগুলোতেও ঈদের নামাজে একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করতেন। তবে ঝোপ-ঝাড়ে ঘেরা এলাকায় এটি ছিল এক অপ্রস্তুত স্থান। পরে ২০১৫ সালে মালয়েশিয়ার একটি সুদৃশ্য মসজিদের নকশা অনুসরণ করে মসজিদটির পুনর্নির্মাণ করা হয়। এর নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় দুই কোটি টাকা, যা এখন এলাকার মানুষের জন্য এক সৌন্দর্যমণ্ডিত ও শান্তির জায়গায় পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন : কালের সাক্ষী অভয়নগরের খানজাহান আলী মসজিদ
এই মসজিদটির নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তা শিল্পপতি মোহাম্মদ দিদারুল আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই এটি পুনর্নির্মাণের আমার এক স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্নপূরণ করতে আমি এলাকার মানুষের সহযোগিতায় এটি নির্মাণ করেছি। মসজিদটি নির্মাণে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।’
আরও পড়ুন : শাহ সুজার দৃষ্টিনন্দন মল্লিকপুর জামে মসজিদ
হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী জানান, ‘মসজিদটি এক সময় মুঘল আমলে ছিল এবং এখানে পীর দরবেশরা একত্রে নামাজ আদায় করতেন। বর্তমানে এটি একটি পবিত্র স্থানে পরিণত হয়েছে, যা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য শান্তির স্থান এবং পর্যটকদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে।’
এই মসজিদটি শুধু ধর্মীয় স্থান হিসেবেই নয়, এটি এখন একটি ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, যেখানে হাজারো মানুষ ধর্মীয় সাধনা ও স্থাপত্যের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন।