তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ২০০ বছরের খাড়েরা জামে মসজিদ

তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা জামে মসজিদটির বয়স প্রায় ২০০ বছর। গ্রামের সাবেক বুজুর্গ হযরত মাওলানা এমদাদুল্লাহ মুন্সির দানকৃত জমিতে সর্বপ্রথম গড়ে উঠে মসজিদটি। বর্তমানে মসজিদটিতে জুমার নামাজ আদায় করেন প্রায় ১৭০০ মুসল্লি। দেড় একর জায়গার উপর দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। মসজিদে নামাজ আদায় করেন গ্রামের সকল মানুষ। আর তাতেই ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকেন তারা।
দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটিতে রয়েছে পাঁচ টনের ১৪টি এসি ও ১০০টি বৈদ্যুতিক পাখা। যার সুফল পায় রমাজানে তারাবি পরতে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। মসজিদে নামাজের আগে অজু করার জন্য আছে শান বাঁধানো ঘাট ও আধুনিক অজুখানা। আছে মৃত ব্যাক্তির গোসল ও লাশ রাখারও সুব্যবস্থা।
মসজিদটিতে প্রায় ৪৫ বছর বিনা বেতনে ইমামতি করা মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মসজিদটির বয়স আনুমানিক ২০০ বছর, যার প্রমাণ পাওয়া যায় আমার বাবা ও দাদাদের বলে যাওয়া কথা অনুযায়ী। আলহামদুলিল্লাহ এতদিন পরেও আমরা এখনো মিলেমিশে আছি।
মসজিদটির ক্যাশিয়ার বলেন, মুন্সী এমদাদুল্লাহ ও গ্রামবাসীর প্রচেষ্টার ফল এই মসজিদ, মসিজিদের তিনটি গম্বুজের রঙ সবুজ হওয়ার কারণ হলো রাসুল (সা.) এর রওজার গম্বুজ সবুজ, আর সেজন্য রাসুল (সা.) কে ভালোবেসে আমরাও এর রঙ সবুজ রেখেছি। মসজিদটি আমাদের দাদাদের ও আগের আমলের।
মসজিদের মুয়াজ্জিন হাবিবুর রহমান জানান, এই মসজিদে প্রতি জুম্মাতে প্রায় ১৭০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করে ও গ্রামের মানুষকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে এই মসজিদ।
অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চায় খাড়েরা গ্রামের মানুষজন। যাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এই মসজিদ এমনটিই আশা এলাকাবাসীর।