ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। আজ সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে উপজেলার মেহারি ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেহারি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল আওয়াল এবং মেহারি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফা কামালের সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া এলাকায় আউয়াল ও মোস্তফা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলেছে। আজ সোমবার দুপুরে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামালের সমর্থিত লোকজন ককটেল ও লোহার রড নিয়ে আবদুল আওয়ালের সমর্থিত ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হান্নানের বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর চালায়। এ সময দুপক্ষের লোকজনদের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। এ সময় দুপক্ষই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা প্রতিপক্ষের ওপর লোহার চল ও টেঁটা দিয়ে আক্রমণ করে। দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সংঘর্ষে কামাল মিয়া (২৪), জসিম উদ্দিন (৪০) ও কিবরিয়া (৫০) ও সুমন মিয়া (৪৫) টেঁটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর হয়। তাদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। অপর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিমরাইল গ্রামে দুই পক্ষের লোকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা দেয়নি। তবে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।’