গেল সপ্তাহে (২-৬ মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার। এতে খাতটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করেছে। পরের অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র, ব্যাংক ও খাদ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৮১৩ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৩৬২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পুঁজিবাজারে মোট ২১টি খাত রয়েছে। এর মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩৪ প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২৭৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫৫ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদনের ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। লেনদেনে খাতটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। এই খাতের ৫৮ প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২৫৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। পরের অবস্থানে ব্যাংক খাতের লেনদেন হয়েছে ২১৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে লেনদেন হয়েছে ১৮৪ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ।

প্রকৌশ খাতে লেনদেন হয়েছে ১৭৯ কোটি তিন লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। জ্বালানি ও শক্তি খাতে লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক ২২ শতাংশ। এছাড়া মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ হয়েছে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে, বিবিধ খাতে তিন দশমিক ৭৪ শতাংশ, সিরামিক খাতে তিন দশমিক ৩৯ শতাংশ, আইটি খাতে তিন দশমিক ১৭ শতাংশ,  মিউচুয়াল ফান্ডের দুই দশমিক ৬৯ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে দুই দশমিক ৬৮ শতাংশ, টেলিকম খাতে দুই দশমিক ৬৪ শতাংশ, নন ব্যাংক আর্থিক খাতে দুই দশমিক ১৮ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে এক দশমিক ৯৩ শতাংশ, চামড়া খাতে এক দশমিক ৪৮ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে এক দশমিক ২০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে দশমিক ৮০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে দশমিক ৫৮ শতাংশ, পাট খাতে দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং করপোরেট বন্ড খাতে দশমিক শূন্য দুই শতাংশ লেনদেন হয়েছে।