শেয়ারপ্রতি ২৯.৭ টাকা কমেও লেনদেনের সেরা ওরিয়ন ইনফিউশন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশনের ১১৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে, যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট লেনদেনের ছয় দশমিক ১২ শতাংশ। এই সপ্তাহতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। অপরদিক সপ্তাহটিতে শেয়ারপ্রতি দর কমেছে ২৯ টাকা ৭০ পয়সা। এতে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন কমেছে ৬০ কোটি ৪৬ লাখ ৮৪ হাজার ৮৭২ টাকা। সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) হিসেবে কোম্পানিতে বিনিয়োগ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ৪১৬ টাকা ৬০ পয়সা। আগের সপ্তাহের ৬ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৩৮৬ টাকা ৯০ পয়সা। গত বৃহস্পতিবার মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন দাঁড়িয়েছে ৮৪৮ কোটি ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৬ টাকা, যা আগের সপ্তাহের ৬ মার্চ হয়েছিল ৭৮৭ কোটি ৭১ লাখ ৯১ হাজার ১৪৪ টাকা।
গেল সপ্তাহে ৪১৩টি কোম্পানির এক হাজার ৯৫৪ কোটি ৬৮ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সেখানে সপ্তাহটিতে শুধু ওরিয়ন ইনফিউশনের ১১৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক ১২ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কোম্পানিটির পিই রেশিও দাঁড়ায় ২০২ দশমিক ২৩ পয়েন্টে। পিই রেশিও অনুসারে কোম্পানিতে বিনিয়োগ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানির পিই রেশিও যদি সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে, তাহলে সেখানে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পিই রেশিও ডিজিট যদি ১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত অবস্থান করে, তবে সেখানেও বিনিয়োগ নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। তবে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সেই হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। মানে পিই রেশিও ৪০ এর ওপরে গেলে বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পিই রেশিও যত বাড়বে ঝুঁকির মাত্রা তত বাড়তে থাকবে।
১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ওরিয়ন ইনফিউশনের। ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা দুই কোটি তিন লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০টি। রিজার্ভে রয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখ টাকা। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৬ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির স্বল্পমেয়াদী ঋণ রয়েছিল ৩০ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।