ডিএসই : ওষুধ-ব্যাংক খাতে লেনদেন ৩৩ শতাংশ

সদ্যসমাপ্ত সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩০ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার। এতে খাতটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করেছে। পরের অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, সদ্যসমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪১০ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৩৫২ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পুঁজিবাজারে মোট ২১টি খাত রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ লেনদেন হয়েছে এই দুই খাতে। ৬৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ লেনদেন হয়েছে বাকি ১৯ খাতে।
শীর্ষে অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩৪ প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২৩৭ কোটি দুই লাখ টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদনের ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ। লেনদেনে খাতটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এই খাতের ৩৬ প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২২১ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এই খাতের ২১ প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এরপরের অবস্থানে জ্বালানী ও শক্তি খাতে লেনদেন হয়েছে ১৩৯ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ১১৮ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের আট দশমিক ৪১ শতাংশ। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ৯৪ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের সাত দশমিক ৬২ শতাংশ। মিউচুয়াল ফান্ডের খাতে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ৮২ শতাংশ। বিবিধ লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৯৯ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ২৬ শতাংশ। সাধারন বিমা খাতে খাতে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ১১ শতাংশ। পেপার ও প্রিন্টিং খাতে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ১৮ শতাংশ।
এছাড়া মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৬২ শতাংশ হয়েছে সিরামিক খাতে, টেলিকম খাতে দুই দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, আইটি খাতে এক দশমিক ৯৩ শতাংশ, নন ব্যাংক আর্থিক খাতে এক দশমিক ৬৮ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে এক দশমিক ৬৫ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে এক দশমিক ৬৪ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে এক দশমিক ২২ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে দশমিক ৮৫ শতাংশ, চামড়া খাতে দশমিক ৫৮ শতাংশ, পাট খাতে দশমিক ২৭ শতাংশ এবং করপোরেট বন্ড খাতে দশমিক শূন্য দুই শতাংশ লেনদেন হয়েছে।