নিরাপদ বিনিয়োগ জ্বালানি খাতে, পরে ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩০ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সিঙ্গেল ডিজিট বা একক অঙ্কে রয়েছে। পিই রেশিও হিসেবে সিঙ্গেল ডিজিট ডিএসইতে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজারের বিশ্লেষকরা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডিএসইতে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও শক্তি খাত। এই খাতটির পর বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এরপরে রয়েছে নন ব্যাংকিং আর্থিক খাত এবং সেবা ও আবাসন খাত। আলোচিত এই চার খাতের পিই রেশিও সিঙ্গেল ডিজিটে অবস্থান করছে। সেই হিসেবে খাত চারটিতে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। তবে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সিরামিক খাতে। এই খাতটির পর বিনিয়োগ ঝুঁকিতে অবস্থানে রয়েছে চামড়া খাতে।
এদিকে, পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানির পিই রেশিও যদি সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে, তাহলে সেখানে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া পিই রেশিও ডিজিট যদি ১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত অবস্থান করে, তবে সেখানেও বিনিয়োগ নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সেই হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। এসব বিবেচনায় গতকাল বুধবারের ডিএসইর পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪০ পয়েন্ট। সেই হিসেবে ডিএসইতে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে আছে। তেমনি বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ খাত নিরাপদে রয়েছে।
গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) জ্বালানি ও শক্তি খাতটিতে পিই রেশিও অবস্থান করেছে পাঁচ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে এই খাতের পরেই বিনিয়োগ নিরাপদে অবস্থান রয়েছে ব্যাংক খাত। গতকাল ব্যাংক খাতের পিই রেশিও পাঁচ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। পিই রেশিও নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতের ৯ দশমিক ১৯ পয়েন্টে এবং সেবা ও আবাসন খাতের ৯ দশমিক ৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। অপরদিকে, গত সপ্তাহে সিরামিক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছিল ১০৬ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই খাতটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে অবস্থান করেছে। এরপর ঝুঁকিতে অবস্থান করা চামড়া খাতের পিই রেশিও ৪২ দশমিক ৩০ পয়েন্টে এবং পাট খাতে ২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।
গত সপ্তাহে খাতভিত্তিক হিসেবে পিই রেশিও বস্ত্র খাতে ১০ দশমিক শূন্য ছয় পয়েন্টে, ওষুধ রসায়ন খাতে ১০ দশমিক শূন্য ছয় পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১০ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে, বিমা খাতে ১১ দশমিক ৩২ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১২ দশমিক ৩১ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১২ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৫ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে, টেলিকম খাতে ১৬ দশমিক ৪০ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭ দশমিক ৬১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৮ দশমিক শূন্য দুই পয়েন্টে, মিউচুয়্যর ফান্ড খাতে ১৮ দশমিক শূন্য তিন পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ১৯ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে এবং পাট খাতে ২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।