বাজেট পুঁজিবাজার-বান্ধব, আস্থা ফিরবে বিনিয়োগকারীদের : ডিএসই চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে সহায়ক নীতিমালা গ্রহণ করেছে। এতে পুঁজিবাজার প্রতি আস্থা ফিরবে বিনিয়োগকারীদের। পুঁজিবাজার-বান্ধব বাজেট দেওয়ায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘২০২৫-২৬ সালের বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি, মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার হ্রাস এবং লেনদেনের ওপর উৎসে কর হ্রাস ইত্যাদি পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টের ওপর ধার্য অ্যানুয়াল মেইনটেন্যান্স ফি ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করেছে। আবার সিসি অ্যাকাউন্টে অর্জিত সুদের ২৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ব্যয়ের জন্য ইনভেস্টর্স প্রটেকশন ফান্ডে জমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া গত ৪ নভেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত কোম্পানি হতে অর্জিত ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত মূলধনী আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত রাখার বিধান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকার উপরে মূলধনী আয়ের ওপর কর ১৫ শতাংশে হ্রাস করেছে।’
পুঁজিবাজারের উন্নয়নসহায়ক এসব নীতিমালা পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক বলে মন্তব্য করেন ডিএসই চেয়ারম্যান। বাজেট প্রস্তাবনায় সরকারের মালিকানা রয়েছে এমন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে সরকারের শেয়ার কমিয়ে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তকরণ, বেসরকারি খাতের দেশীয় বড় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে প্রণোদনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে ডিএসই। এসব ইতিবাচক সিদ্ধান্তের জন্য ডিএসইর চেয়ারম্যান বিএসইসি ও এনবিআরকে ধন্যবাদ।