বাংলা সাহিত্য আকাদেমির সর্বোচ্চ ‘ফেলো’ সম্মান পেলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় লেখক সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে কলকাতায় সাহিত্য আকাদেমি সভাঘরে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে ফেলোশিপ তুলে দেন সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি চন্দ্রশেখর কাম্বার।

এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য আকাদেমির সচিব কে শ্রীনিবাস রাও, উপদেষ্টা পর্ষদের অন্যতম সদস্য কবি সুবোধ সরকার।

সাহিত্য আকাদেমির সচিব কে. শ্রীনিবাস রাও বলেন, ‘বহু সম্মানে ভূষিত শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা শুধু বাংলাভাষি মানুষের কাছে নয়, সারা দেশে জনপ্রিয়। তাঁকে ফেলোশিপ দিতে পেরে সাহিত্য আকাদেমি গর্বিত।’

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আজকের এই সম্মান আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। আপনাদের সবার সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। আমি কী করেছি, তা আমি জানি না। আমি আমার মনের মধ্যে কখনও কোনও গৌরব বহন করি না। আমার শুধু বিনম্র হতে ইচ্ছা করে। আমি আমার কাজটাই করে যেতে চাই। কোনও অহংকার আমায় স্পর্শ করে না। কেননা এই যে লেখা... একজন শ্রমিকের কত কত কাজ করে যাওয়া... এর দিনান্তে কিছু সম্মান হয়তো প্রাপ্তি হয়, কিছু টাকাপয়সা আসে, কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো এই যে সাড়া পেয়েছি, কেউ কেউ বলেছেন আমি তোমার সাথে আছি, তোমার ভাবনা, তোমার হৃদয়টা আমি বুঝতে পারছি। এটুকুই আমার প্রাপ্তি, আমার পরম পুরস্কার। এর থেকে বড় পুরস্কার আর কী আছে?’

মানবজমিন উপন্যাসের স্রষ্টা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ছাড়াও আরও সাত ভারতীয় লেখককে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয় সাহিত্য আকাদেমির তরফে। সাহিত্য আকাদেমি সাভাঘরে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সৃষ্টি নিয়ে এক আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়, তাতে অংশ নেন কবি সুবোধ সরকার, প্রচেত গুপ্তসহ বিশিষ্টজনেরা।