বইমেলায় অপূর্ণ রুবেলের ‘প্রযত্নে হারুন ভাই’

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ প্রকাশ হয়েছে নাট্যকার ও সাংবাদিক অপূর্ণ রুবেলের গল্পের বই ‘প্রযত্নে হারুন ভাই’। হারুন ভাই মূলত ফেসবুকে জনপ্রিয় হওয়া একটি চরিত্র, যাঁকে দেশ, সমাজ, পরিবার নিয়ে নানা প্রতিবাদী মন্তব্য ও নানা ধরনের সমস্যার দারুণ সব সমাধান দিতে দেখা যায়।
হারুন ভাইয়ের সঙ্গে লেখক অপূর্ণ রুবেলের এ রকম ছোট ছোট আলাপচারিতার গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। হারুন ভাই সম্পর্কে লেখক ও সাংবাদিক ইশতিয়াক আহমেদ বলেছেন, ‘আমি বেশ গভীরভাবে হারুন ভাইয়ের কর্মকাণ্ড লক্ষ করি। পড়ি। পড়ে মজা পাই। তিনি সমাজকে অন্য অ্যাঙ্গেলে নিজে দেখেন এবং তা মানুষকে দেখানোর চেষ্টা করেন। এই দেখানোর চেষ্টায় তার একটা উদ্দেশ্য আছে। তিনি বিভিন্ন কাজের ভুল ধরিয়ে দেন। ভুল শুধরে নেওয়ার পথ দেখান। সব মিলিয়ে হারুন ভাই অনন্য। হারুন ভাইয়ের মাঝে সবচেয়ে লক্ষণীয় ব্যাপার, তিনি তাঁর আবিষ্কার অপূর্ণ রুবেলের চেয়েও বুদ্ধিমান।’
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন নিয়াজ চৌধুরী তুলি। কালো প্রকাশনীর ২১৭ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে বইটি। তবে মেলার বাইরে বইটি পাওয়া যাবে রকমারিতে। রকমারিতে অর্ডার করার লিংক : http://bit.ly/2RF3Tg4
উল্লেখ্য, অপূর্ণ রুবেলের মূল নাম হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক, জন্ম বগুড়া জেলার ধুনট থানায়। স্কুলে পড়ার সময়ই লেখালেখির হাতেখড়ি। প্রথম লেখা প্রকাশ পেয়েছে বগুড়া থেকে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক করতোয়ায়। ধুনট এন ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর ঢাকায় চলে আসেন। ব্যবসায় শাখায় তেজগাঁও কলেজ থেকে এইচএসসি ও সরকারি তিতুমীর কলেজে থেকে মার্কেটিংয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন।
বাণিজ্যে পড়লেও লেখালেখির সুবাদে জড়িয়েছেন সাংবাদিকতায়। কাজ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক ও দৈনিক পত্রিকায়। এ ছাড়া গল্প, ফিচার, ভ্রমণকাহিনি লিখেছেন প্রথম সারির সব পত্রিকায়। অপূর্ণ রুবেল এখন নিয়মিতভাবে নাটক লিখছেন। তাঁর লেখা ‘সাবলেট’, ‘প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা’, ‘রঞ্জনা আমি আবার আসব’, ‘একটি সুখবর’ নামের নাটকগুলো হয়েছে সমাদৃত ও দর্শকনন্দিত। নাটক লেখার সঙ্গে জড়িত তরুণদের নিয়ে তাঁর ‘গল্পের বাড়ি’ নামে একটি টিমও রয়েছে।
২০১০ সালে উৎস প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় লেখকের ছোটগল্পের বই ‘ঘণ্টার হিসেবে একটি ভালো না বাসার গল্প’। ২০১৭ সালে দেশ পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক ২০০০-এ প্রকাশিত নির্বাচিত ফিচার নিয়ে বই ‘বিচিত্র যত মুখ’।