হুমায়ূন আহমেদ : সাহিত্যের জাদুকর

১.
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের আজ ৬৯তম জন্মদিন। সারা বিশ্বের বাঙালিকে কাঁদিয়ে ২০১২ সালের ২৩ জুলাই আলোকপসার নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন সাহিত্যের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ। ২৪ জুলাই নুহাশপল্লীতে জোছনা হয়ে জেগে থাকবেন বলে তাঁকে সেখানেই সমাহিত করা হয়। কিন্তু নুহাশপল্লীতে ততক্ষণে চাঁদ ডুবে গেছে। অন্ধকার হয়ে গেছে তাঁর প্রিয় সব বৃক্ষ-লতা-গুল্ম। দূরের সমুদ্র ও পাহাড় তাঁর স্পর্শবঞ্চিত হয়েছে। মৃত্যুকে ঠিক উপলব্ধি করেছিলেন বোধ হয়! কেন তিনি শল্যচিকিৎসকের ফাঁদে ধরা দেওয়ার আগে ঘুরে গিয়েছিলেন প্রিয় স্বদেশ? মৃত্তিকার গন্ধে ভরা, সবুজ প্রকৃতির আলিঙ্গন-ঘেরা তাঁর সব স্মৃতিময় জায়গাগুলো বড় বেশি টানছিল কি? প্রিয় ভাইয়ের হাত ছেড়ে, একান্ত আপন স্ত্রী ও শিশুসন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে শেষ বিদায়ের মুহূর্তগুলো কেমন লেগেছিল তাঁর? যে জোসনা ও বৃষ্টি তাঁকে আলোড়িত করত, সেসব থেকে বহু দূরে তিনি এখন। ধানমণ্ডির দক্ষিণ হাওয়া বাসার বারান্দা, কার্জন হলের মখমল রাঙা বৌদ্ধিক উঠোন আর বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণের মুগ্ধতা কোথায় হারাল শ্রাবণের এই বাদল দিনের কদম ফুলের বাসর থেকে? আমাদের প্রিয় লেখক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিল্পের অনেক মাধ্যমের নিবিড় ধ্যানী হুমায়ূন আহমেদ বড় অসময়ে মাত্র ৬৪ বছর বয়সে ইহধাম ত্যাগ করেন।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্ম বাংলা সাহিত্যের অবিস্মরণীয় এই ব্যক্তিত্ব ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় লিখেছিলেন ‘নন্দিত নরকে’র মতো আপাত সহজ কিন্তু জীবনের জটিল আর্বতের গল্প। যে মধ্যবিত্তের কথাকার তিনি, তার সূচনা ছিল এ উপন্যাস দিয়ে। বাংলাদেশে জনপ্রিয় সাহিত্যের পথিকৃত তিনি; চার দশক একটানা লিখেছেন; আমাদের দেশে পশ্চিমবঙ্গের ঔপন্যাসিকদের আধিপত্য ধূলিসাৎ করেছেন। সহজ, সরল ভাষায় স্নিগ্ধ ও অনাবিল হাস্যরস এবং জীবনের আপাত উপরিতলের কথা বলে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও তিনি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গভীর সংকেত লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর কাহিনীতে। তাঁর গদ্যরীতিতে যে সাবলীল গতি এবং বর্ণনার পরিবর্তে কথোপকথন ও সংলাপের প্রাধান্য দেখা যায় তা সব শ্রেণির পাঠকের কাছে সহজবোধ্য। তাঁর প্রায় উপন্যাসে একই ধরনের চরিত্র আছে, যারা খুব জনপ্রিয় তাদের উদ্ভট কর্মকাণ্ডের জন্য; রোমান্টিক আচরণের পাগলামির কারণে। মিসির আলী ও হিমু এদের মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশে এই নামগুলো স্মরণীয় হয়ে থাকবে; সাহিত্যের পাতায় ও ক্যামেরার ফ্রেমেও। কারণ অধিকাংশ উপন্যাসে এ চরিত্রদ্বয় ঔপন্যাসিকের গভীর মমত্বে রূপায়িত হয়েছে। হিমু বললে হুমায়ূন আহমেদকে বোঝানো হবে; এটি এখন পাঠকের কাছে স্পষ্ট। কেবল চরিত্রটির প্রতি লেখক কিংবা পাঠকের ভালোবাসা নয়, কাহিনীতে অনিবার্য সক্রিয়তায় চরিত্রটি স্মরণীয় হয়ে উঠেছে। আগামী বইমেলায় নতুন হিমুকে খুঁজে ফিরবে পাঠকরা; বেদনায় সিক্ত হয়ে উঠবে আমাদের মন।
অনেকদিন থেকে হুমায়ূন আহমেদ আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছেন; আর তাঁর সেই কীর্তিমান রূপ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও অক্ষুণ্ণ থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। মধ্যবিত্তের জীবনের গল্প লিখে জনপ্রিয় হলেন তিনি; অথচ মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ও চলচ্চিত্র দিয়েই তাঁর চূড়ান্ত খ্যাতি; তারপর সায়েন্সফিকশনকে বাস্তবতার সঙ্গে একীভূত করে মহীরূহে পরিণতি। কী ছিল না এই লেখকের অর্জনে? যিনি বিটিভির নাটকের প্রাণপুরুষ হিসেবে আবির্ভূত, তিনিই আবার বানালেন বিখ্যাত সব চলচ্চিত্র। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হলের ভেতর বসতি গেড়েছিলেন, তিনি ছড়িয়ে পড়লেন সেন্ট মার্টিন থেকে নুহাশপল্লীতে। স্বপ্নচারিতা ও কল্পনার জগৎ নির্মাণে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তাঁর স্বপ্ন ও চিন্তার একটি দিক তাঁর নিজের কথা থেকে তুলে দিতে পারি। কিছু দিন আগে ‘রং পেন্সিল’ নামক রচনায় বড়দের দ্বারা শিশুদের প্রতারিত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, শিশুদের কাছে একসময় প্রতারণা ধরা পড়ে, তারা তখন বড়দের ক্ষমা করে দেয়। কিন্তু আমরা বড়রাও প্রতারিত হই। প্রতারণা করেন রাজনীতিবিদরা। ইলেকশনের আগে কত সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। বৈতরণী পার হওয়ার পর সব কিছুই ভুলে যান। বিস্মৃতি ব্যাধি হয়। এ ব্যাধি পাঁচ বছর থাকে। পাঁচ বছর পর রোগ সারে। আবার পূর্ণোদ্যমে পুরোনো কথা বলতে থাকেন, আমরা আবারও প্রতারিত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি।’
সংসদীয় গণতন্ত্রে ভোটের গুরুত্ব সকল রাজনীতিবিদের কাছে সমান। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের বিবেচনা অন্যরকম। তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর শুনতে চেয়েছেন; বোঝাতে চেয়েছেন এসব হতভাগা, মূঢ়, অসহায় মানুষের প্রতি সদয় না হলে গণতন্ত্রের সুবাতাস বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী হবে না। জীবতাবস্থায় শেষ আগমনে তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করে গিয়েছিলেন একটি ক্যানসার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবেন। বলেছিলেন ১৬ কোটি মানুষ এক টাকা করে দিলে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বহন করা কোনো বিষয়ই নয়। চার বছর আগে তিনি ‘শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ’ নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে পাসের হার শতভাগ; ড্রপ আউট শূন্য। তিনি কল্পনায় যে সুন্দর স্কুল দেখেছিলেন, এটি সে রকম একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর ভাষ্যমতে, স্কুল দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন আসে; অথচ তাঁর এলাকার নির্বাচিত এমপিদের নিমন্ত্রণ করেও পাওয়া যায়নি।
২.
বাংলা সাহিত্যে ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্রের পরে জনপ্রিয়তায় হুমায়ূন আহমেদের নাম উচ্চারিত হবে দীর্ঘদিন। কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নন; তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের লেখকদের লেখনী সত্তার আইকন। গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি টিভি ও চলচ্চিত্রে নিরন্তর তাঁর কাজে সংযুক্তি একজন পরিশ্রমী ব্যক্তিত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যিনি প্রতিভার ওপর নির্ভরশীল না থেকে নিজেই তৈরি করে নিয়েছিলেন নিজস্ব এক ঘরানা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা তাঁর ‘দেয়াল’ উপন্যাসটি সমাপ্ত হয়েছে জেনে আমরা আনন্দিত; আপ্লুত। কেন এবং কীভাবে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন পাঠকের? তিনি নাগরিক জীবনকে উপন্যাসে মুখ্যত চিত্রিত করেছেন। তাঁর ভাষা ছিল কাহিনীর পরিপোষক। হাস্যরস ও রহস্যময়তা তাঁর গল্পের মুখ্য উপাদান। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল অভিনব ও বিশিষ্ট। তাঁর চরিত্রগুলো সহজেই পাঠকের সহানুভূতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল।
বিশাল ক্যানভাসে মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ ছাড়াও তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও ব্যক্তিজীবনের সংশ্লেষে অনবদ্য সব উপন্যাস লিখে গেছেন। ‘সৌরভে’ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবরুদ্ধ রাজধানী ঢাকা নগরীর উত্তপ্ত সময় ও পরিবেশের চিত্র আছে কিন্তু সরাসরি যুদ্ধের বর্ণনা অনুপস্থিত। ‘শ্যামল ছায়া’য় আত্মকথনের রীতিতে কাহিনী গড়ে উঠেছে। হানাদার পাকিস্তানিদের সম্পর্কে লেখকের ব্যক্তিগত আক্রোশও প্রকাশিত হয়েছে। যুদ্ধাক্রান্ত বাংলাদেশের গ্রামীণজীবন, পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা গেরিলার নিজ নিজ প্রতিক্রিয়া ও যুদ্ধের অভিঘাত, রাজাকারদের কথা ও মুক্তিবাহিনীর প্রতি সাধারণ জনতার মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে এর কাহিনীতে। ‘১৯৭১’ নির্মিত হয়েছে গ্রামীণ নিম্নবর্গের জীবনে যুদ্ধের অভিঘাতের কথামালা দিয়ে। মুক্তিসেনাদের ওপর হানাদার বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের ঘটনা আছে এখানে।
‘আগুনের পরশমণি’তে বর্ণিত হয়েছে ঢাকা মহানগরীর মুক্তিবাহিনীর গেরিলা তৎপরতা ও পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে গেরিলাদের মুখোমুখি সংঘর্ষের বিচ্ছিন্ন খণ্ডচিত্র। তাঁর উপন্যাসকে কোনো কোনো সমালোচক ‘রক্তাক্ত সময় ও সাহসী মানুষের সমাচার’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সেই নির্মম রূঢ় বাস্তবতার চিত্র তাঁর উপন্যাসে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। উপন্যাসে বহির্বাস্তবতার চেয়ে চরিত্রগুলোর নিজস্ব মানসভাবনা ও জীবনকথাই গুরুত্ব লাভ করেছে। ‘অনিল বাগচীর একদিন’ স্বল্পায়তন উপন্যাসের ভেতরই লেখক তুলে ধরেছেন হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যদের কর্মতৎপরতা, বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়নের চিত্র, বিশ্লেষণ করেছেন বাঙালির চারিত্রিক দুর্বলতা ও ইতিবাচকতা, অনুসন্ধান করেছেন এ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেশত্যাগ ও মানসিক হীনমন্যতার; উন্মোচন করেছেন রাজধানী ঢাকার মুক্তিবাহিনীর গেরিলা তৎপরতাসহ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নানা অনুষঙ্গের।
সাহিত্যের জাদুকর হিসেবে তিনি ধরা দিয়েছেন বহুমাত্রিকতায়। একদিকে যেমন ‘একা একা’ উপন্যাসে তিনি উদ্ভট চরিত্র নির্মাণ করে হাস্যরসে মাতিয়েছেন, তেমনি অতিসাধারণ বিষয় চোখে পড়েছে তাঁর। তাঁর উপন্যাসের গল্পের একটি পরিচিত কৌশল রয়েছে। তিনি ‘নন্দিত নরকে’ যে মধ্যবিত্ত জীবন ও পরিবারের গল্প বুনেছিলেন, ঠিক একই রকম কাজ করেছেন ‘জয়জয়ন্তী’সহ আরো অনেক উপন্যাসে। হিমু ও মিসির আলী তাঁর অনেক উপন্যাসের প্লটে নতুন নতুন আদলে আত্মপ্রকাশ করেছে। সামাজিক উপন্যাসের আসর থেকে রহস্য উপন্যাসের আঙিনায় তাঁর চলাচলের এটি ছিল সৃজনশীলতার অন্যতম অবলম্বন। তবে তাঁর উপন্যাসের একটি দুর্বল দিক হলো বেশি কথোপকথন। এই কথার প্রাবল্য অসঙ্গতি তৈরি করেছে অনেক উপন্যাসে। তাঁর ‘কবি’ উপন্যাস সে অর্থে শিল্পমানে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে যদিও উপন্যাসটিতে ধনী, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষের জীবন উঠে এসেছে।
অথচ প্রথমদিকে তাঁর ‘নন্দিত নরকে’ ও ‘শঙ্খনীল কারাগার’ পাঠক ধরতে সক্ষম হয়েছিল; যার ধারাবাহিকতা এ বছরের বইমেলা পর্যন্ত বজায় ছিল। তিনি অনেক অদ্ভুত, আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব জীবনের গল্প বলেছেন। তিনি বিচিত্র চরিত্র সৃজন করেছেন। তাঁর সৃষ্ট শুভ্র পতিতার সন্তান কিন্তু তার মধ্যে তিনি মহান আত্মার প্রতিধ্বনি শুনেছেন। ঔপন্যাসিক হিসেবে তিনি একই সঙ্গে নগর এবং গ্রামীণ জীবন পর্যবেক্ষণে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। জীবনকে কাহিনীবৃত্তে তুলে ধরার জন্য সাম্প্রতিক অনেক বিষয়ই ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ ও পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশিত হয়েছে। এসবই পাঠকের কাছে উপস্থাপন করেছেন এমন শিল্প প্রকরণে যা মনোযোগ আকর্ষণ করেছে সর্বস্তরে।
মূলত গত ও বর্তমান শতাব্দীর সবচেয়ে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ অফুরন্ত প্রাণের অবারিত উচ্ছ্বাসে লিখেছেন; জনপ্রিয় হয়েছেন বহুমাত্রিক ধারায়। উপন্যাস, গল্প, টিভি নাটক থেকে চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁকে মানুষের বেশি কাছে নিয়ে গেছে। তাঁর সংগীতপ্রীতি কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বাবার সন্তান হুমায়ূন আহমেদের সমগ্র জীবনেই অভিব্যক্ত হয়েছে অনেক কিছু। তিনি আপাদমস্তক একজন আশাবাদী লেখক ছিলেন। যিনি মানুষের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছেন নির্বিকারভাবে। বাঙালির আবেগের জায়গাটি ঠিক ঠিকভাবে উন্মোচন করে গল্প বলার কৌশল তিনি ভালোই জানতেন। এ জন্য লৌকিক থেকে অলৌকিকে চলাচল ছিল তাঁর নিরবচ্ছিন্ন। অধিবাস্তবতা থেকে জাদুবাস্তবতা সবই তাঁর কথাসাহিত্যের ঘটনাধারায় মিশ্রিত।
নিজের বিশ্বে তিনি প্রকৃত অর্থেই মোগল সম্রাট হুমায়ূনের মতো অদ্বিতীয় ছিলেন। সমাজ ও জীবনকে মথিত করে অসাধারণ সৃজনদক্ষতার নিদর্শন হিসেবে তাঁর সাহিত্যকর্ম আগামী প্রজন্মের জন্য অমৃত। পৃথিবীর মায়া ছেড়ে তাঁর চলে যাওয়া আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত। তাঁর জন্মদিনে সে কথাই বারবার মনে হচ্ছে।