Skip to main content
NTV Online

শিল্প ও সাহিত্য

শিল্প ও সাহিত্য
  • অ ফ A
  • গদ্য
  • কবিতা
  • সাক্ষাৎকার
  • গ্রন্থ আলোচনা
  • বইমেলা
  • চিত্রকলা
  • শিল্পসাহিত্যের খবর
  • পুরস্কার ও অনুষ্ঠান
  • চলচ্চিত্র
  • আলোকচিত্র
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • শিল্প ও সাহিত্য
ছবি

লাল টুকটুকে মিম

একান্তে তাহসান-রোজা

মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর ৫ খাবার

মেট গালা ফ্যাশনে দ্যুতি ছড়ালেন কিয়ারা

গ্রীষ্মের ফুলে ভিন্নরূপে রাজধানীর প্রকৃতি

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণে প্রধান উপদেষ্টা

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার

পুলিশ সপ্তাহ শুরু

স্টাইলিশ মিম

পোপের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে ড. ইউনূস

ভিডিও
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ৬
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ৬
এই সময় : পর্ব ৩৮২০
এই সময় : পর্ব ৩৮২০
মিউজিক নাইট : পর্ব ১৯৫
মিউজিক নাইট : পর্ব ১৯৫
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩৭
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩৭
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৪
টেলিফিল্ম : রঙিন চশমা
টেলিফিল্ম : রঙিন চশমা
নাটক : প্রেম আমার
নাটক : প্রেম আমার
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৪৯
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৪৯
অঞ্জন আচার্য
১৪:০৬, ২১ নভেম্বর ২০১৭
আপডেট: ১৪:১৮, ২১ নভেম্বর ২০১৭
অঞ্জন আচার্য
১৪:০৬, ২১ নভেম্বর ২০১৭
আপডেট: ১৪:১৮, ২১ নভেম্বর ২০১৭
আরও খবর
আল মাহমুদের সাক্ষাৎকার: ‘২৫ বছর বয়সে ফিরতে চাই’
আল মাহমুদের সাক্ষাৎকার: ‘দেশের জন্য যুদ্ধ করে রাজাকার উপাধিটাই আমার প্রাপ্য’
গল্প লিখে সবচেয়ে আনন্দ পাই : শাহাদুজ্জামান
বইমেলা আয়োজন বাংলা একাডেমির কাজ না : জাকির তালুকদার
সাক্ষাৎকার: বাংলাদেশে একটা আশ্রয় আছে : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

সবার পক্ষে লেখক হওয়া সম্ভব নয় : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

অঞ্জন আচার্য
১৪:০৬, ২১ নভেম্বর ২০১৭
আপডেট: ১৪:১৮, ২১ নভেম্বর ২০১৭
অঞ্জন আচার্য
১৪:০৬, ২১ নভেম্বর ২০১৭
আপডেট: ১৪:১৮, ২১ নভেম্বর ২০১৭

পশ্চিমবঙ্গে তথা বাংলা সাহিত্যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় একজন অন্যতম কথাসাহিত্যিক। ২ নভেম্বর ১৯৩৫ সালে ময়মনসিংহ জেলায় তাঁর জন্ম। তাঁদের আদিনিবাস ছিল ঢাকার বিক্রমপুরে। বাবার রেলওয়ের চাকরির সুবাদে শৈশব ও কৈশোরকালে তাঁকে একরকম যাযাবর জীবনযাপন করতে হয়েছে। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাঁর পরিবার বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যায় কলকাতায়। এরপর বিহার, আসাম, কুচবিহার, পূর্ববাংলা, উত্তরবাংলা ঘুরে সবশেষে আবার কলকাতাতেই ফিরে আসেন। মিশনারি স্কুল ও বোর্ডিংয়ে কাটে তাঁর স্কুলজীবন। ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। বিএ করেন কলকাতা কলেজে। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর শেষে স্কুলশিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। 

একসময় আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করে সাংবাদিকতা পেশাকে বেছে নেন। বর্তমানে ‘দেশ’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক পদে কর্মরত আছেন। প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় ‘দেশ’ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস ‘ঘুণপোকা’ প্রকাশিত হয় দেশ পত্রিকার শারদীয় সংখ্যায়। প্রথম কিশোর উপন্যাস ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ লিখে ১৯৮৫ সালে লাভ করেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার। তা ছাড়া আনন্দ পুরস্কার দুবার- ১৯৭৩ ও ১৯৯০ সালে। তাঁর ‘মানবজমিন’ উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৮৯ সালে লাভ করেন সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার। যাও পাখি, মানবজমিন, দূরবীণ, পার্থিব, চক্র, পারাপার ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। বাংলাদেশে তাঁর ‘যাও পাখি’, ‘মানবজমিন’ উপন্যাস নিয়ে নির্মিত হয়েছে ধারাবাহিক নাটক। এ ছাড়া বেশ কিছু গল্প অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে টেলিভিশন নাটক। খ্যাতিমান এ লেখকের মুখোমুখি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অঞ্জন আচার্য।

অঞ্জন আচার্য : বাংলাদেশে আপনার গল্প-উপন্যাস অবলম্বনে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন নাটক নির্মিত হয়েছে। সেগুলো দর্শকনন্দিতও হয়েছে বেশ। অনুভূতি কেমন?

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় : ভালো, বেশ ভালো। আমার বইয়ের পাঠক বাংলাদেশে আছে। একই সঙ্গে আমার গল্প-উপন্যাস নিয়ে তৈরি করা নাটকও প্রশংসিত হয়েছে বা হচ্ছে। তার মানে আমার পাঠক ও দর্শক— দুই-ই আছে। হা হা হা।

‘যাও পাখি’, ‘মানবজমিন’ উপন্যাসটি নিয়ে বাংলাদেশে দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক হয়েছে। নির্মাতাদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছি কয়েকবার। এ ছাড়া আমার আশ্চর্য প্রদীপ, একটি অমীমাংসিত রহস্যসহ বেশ কিছু গল্প নিয়ে নাটক তৈরি করা হয়েছে।

অঞ্জন : টিভি দেখা হয় আপনার?

শীর্ষেন্দু : খুব দেখা হয়। কাজের প্রয়োজনে দেখতে তো হয়ই, অবসর পেলেও আমি টিভি দেখি। তবে বেশি দেখি কার্টুন ছবি ও টিভি সিরিয়াল। 

অঞ্জন : কার্টুন?

শীর্ষেন্দু : হ্যাঁ কার্টুন। ‘টম অ্যান্ড জেরি’ আমার খুব পছন্দের কার্টুন। আর কার্টুন ছাড়া বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল দেখতে হয় কাজের প্রয়োজনে।

অঞ্জন : লেখালেখির প্রসঙ্গে আসি বরং। কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর ‘কবিতা ক্লাস’ বইয়ের শুরুতেই বলেছেন : “কেউ কেউ কবি নয়, সকলেই কবি’— অর্থাৎ যে কেউ কবি হতে পারেন যদি লেখালেখির কলাকৌশলটা তাঁর জানা থাকে। আপনিও কি তাই মনে করেন?

শীর্ষেন্দু : নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কী প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন তা আমি বলতে পারব না। তবে আমার মনে হয় সবার পক্ষে লেখক হওয়া সম্ভব নয়। হতে চাইলেই সবাই নিজের ইচ্ছেমতো কিছু হতে পারে না। আর লেখালেখির বিষয়টা একটু আলাদা। সবার লেখার ধাৎ থাকে না। লেখালেখি একটা সাধনালব্ধ শিল্প। এ শিল্পগুণ ভেতরে থাকতে হবে। তারপর নিরলস সাধনা করে যেতে হবে। যেমন ধরো, গান। গান তো আমরা কমবেশি সবাই গাই। স্নানের ঘরে বা বন্ধুদের আড্ডায়। তাই বলে কি আমরা সবাই গায়ক বনে গেলাম? না। কিন্তু এটা বলা যেতে পারে, কেউ যদি গানের লাইনে লেগে থাকে, দীর্ঘদিন গানের ব্যাকরণ চর্চা করে তবে গানের তাল-লয় সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা জন্মাতে পারে। এই বলে সবাই শিল্পী হবে— তা বিশ্বাস করি না। লেখালেখির ক্ষেত্রেও তাই। গাদা গাদা চিঠি লিখলেই কেউ রবীন্দ্রনাথ হয়ে যাবে না। মগজে কিছু থাকতে হবে।

অঞ্জন : আপনার লেখালেখির শুরুটা জানতে চাই।

শীর্ষেন্দু : বিষয়টি আমার বহু সাক্ষাৎকারেই উল্লেখ করেছি। ছোটবেলা থেকেই পড়ার পোকা ছিলাম। হাতের কাছে যা পেতাম, তাই পড়তাম। খুব ছোটবেলাতেই রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণ, মানিক, তারাশঙ্কর পড়া শেষ করে ফেলি। যাকে বলে অকালপক্ব। ওই লেখা পড়তে পড়তে নিজের ভেতর লেখালেখির একধরনের টান অনুভব করতাম। শুরু সেখান থেকেই।

অঞ্জন : আপনার জীবনে এক সংকটময় মুহূর্ত পার করেছেন। সেই বিষয়টা একটু শেয়ার করবেন?

শীর্ষেন্দু : আমার তো মনে হয় প্রত্যেক মানুষের জীবনেই কোনো না কোনো সংকটময় সময় পার করতে হয়। তাকে পার করেই জীবন এগিয়ে নিতে হয়। ওই সময়টার কথা আমার অনেক লেখায় প্রকাশ করেছি। নানা টানাপড়েনে চলতে চলতে নিজের জীবনের প্রতি একসময় মায়া চলে যায়। তখন এক বন্ধুর সহায়তায় ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সান্নিধ্য পাই। ঠাকুরের বাণী আমার জীবনে বাঁচার আশা জাগায়। আর বেঁচে আছি বলেই আজ আমি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। না হলে, লক্ষকোটি নামহীন সাধারণ মানুষের মতোই মরতে হতো।

অঞ্জন : সম্ভবত এ বিষয়টি আপনার প্রথম উপন্যাস ‘ঘুণপোকা’র নায়ক শ্যাম চরিত্রের মাঝে দেখা যায়।

শীর্ষেন্দু : শ্যামের সাথে আমার জীবনের কিছু কিছু অংশ মিল আছে। তবে শ্যাম চরিত্রকে পুরোপুরি আমার প্রতিবিম্ব ভাবলে ভুল হবে। শ্যামের বিষণ্ণতা ও তা থেকে পরিত্রাণের জন্য নির্বিকার থাকাটা আমার সাথে মিলে যায়। বাকিটুকু কল্পনা ও অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া। 

অঞ্জন : লেখালেখিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

শীর্ষেন্দু : এর উত্তর আমি হয়তো কিছু আগে দিয়েছি। এই যে আমি, তোমরা যাকে লেখক হিসেবে চেনো-জানো, আমার সাক্ষাৎকার নিতে এসেছো, নানা সময়ে আমাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ করো—এই যে সম্মাননা, তা সবই তো এই লেখালেখির জন্য পেলাম। ওটা আমার ধ্যান— আমার পূজা। 

অঞ্জন : কোন সময়টায় সাধারণত লিখতে বসেন?

শীর্ষেন্দু : লেখাটা ভেতরে ভেতরে সব সময় চলতে থাকে, জমাট বাঁধতে থাকে সারা দিন। তবে রাতের বেলাটাকেই লেখার জন্য বেছে নিয়েছি। ওই সময়টায় লিখতে ভালো লাগে।

অঞ্জন : আপনার অধিকাংশ বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা থাকে, পাঠক হিসেবে আপনি সর্বগ্রাসী। তবে ধর্মগ্রন্থ, থ্রিলার, কল্পকাহিনী আপনার প্রিয়।

শীর্ষেন্দু : আমি সব পড়ি। বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ, সতীনাথ, টলস্টয়, দস্তয়ভস্কি, গোর্কি, কাফকাসহ অনেকের লেখা এখনো পড়ি। ওরাই আমার লেখার জায়গাটি জাগিয়ে তুলেছে—এখনো তুলে যাচ্ছে। তা ছাড়া ভ্রমণকাহিনী আমার খুব ভালো লাগে। ইদানীং ধর্মবিষয়ক গ্রন্থই বেশি পড়া হয়।

অঞ্জন : কোনো এক বিজয়া দশমীর দিনে, আপনারা যাকে বলেন ভাসান, ওই দিন গঙ্গার ওপর ভাসমান লঞ্চ থেকে সরাসরি অনুষ্ঠিত পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘ইটিভি বাংলা’র এক অনুষ্ঠানে আপনি বলেছিলেন যে, আপনি ভূতে বিশ্বাস করেন। বিজ্ঞানের এই যুগে ভূত-প্রেত বলে সত্যিই কি কিছু আছে বলে আপনি মনে করেন?

শীর্ষেন্দু : হ্যাঁ, ভূত আছে। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমার বিশ্বাসের পেছনে যুক্তিসংগত কারণ আছে।

অঞ্জন : কী কারণ?

শীর্ষেন্দু : আমি নিজের চোখে ভূত দেখেছি।

অঞ্জন : ওটা তো দৃষ্টিভ্রমও হতে পারে, হ্যালুসিনেশন।

শীর্ষেন্দু : না। আমারটা দৃষ্টিভ্রম ছিল না। এ বিষয়টি আমি বহুবার বহু জায়গায় বলেছি। কথাটা কেউ বিশ্বাস করলে করুক, বা না-করুক। ঈশ্বর যেমন মানি, তেমনি ভূতও মানি। 

অঞ্জন : মৃত্যু প্রসঙ্গটি আপনার লেখায় প্রচুর লক্ষ করা যায়। ওটা নিয়ে কিছু বলুন।

শীর্ষেন্দু : সকলেরই মৃত্যু ভয় আছে। কারো কম, কারো বা বেশি। আমি মৃত্যুর প্রেমে পড়িনি। মৃত্যু আমার বন্ধু নয়— শত্রু।

অঞ্জন : নানা প্রশ্নে আকীর্ণ বস্তুগ্রাহ্য এই জগৎ ও জীবন। আপনি আপনার লেখায় সব সময় জীবনের গভীরে নিহিত হিরন্ময় তাৎপর্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন অথবা এই নশ্বর জীবনের মানে কী— এমনতর প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছেন। জীবন সম্পর্কে আপনার ব্যক্তিগত মত জানতে চাচ্ছি।

শীর্ষেন্দু : শোনো অঞ্জন, মানুষের বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে মুখ্য বিষয়। এই আমি তোমার সামনে বসে আজ কথা বলছি— তা তো জীবনেরই দান। তুমি হয়তো আমার কথাগুলো লিপিবদ্ধ করবে, পত্রিকায় ছাপবে, লোকে তা পড়বে— জানবে। এই সবকিছু নিয়েই তো জীবন। আমি আমার জীবনযাপনে সব সময় সত্য খুঁজে ফিরি।

অঞ্জন : আপনার সাহসী গোয়েন্দা চরিত্র শবর দাশগুপ্ত সত্যজিতের ফেলুদার মতো তীক্ষ্ণ ও বিচক্ষণ। অনেকে মনে করেন শবর দাশগুপ্ত ফেলুদার নবতর সংস্করণ। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?

শীর্ষেন্দু : পৃথিবীর সব গোয়েন্দা চরিত্রে কিছু কিছু মিল পাওয়া যায় সত্যি। কিছু কমন গুণাবলি, যেমন- সাহসিকতা, বিচক্ষণতা, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি ইত্যাদি মিল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে শবর দাশগুপ্তকে ফেলুদার নব্য সংস্করণ বলাটা পাঠকের পড়াশোনার সীমাবদ্ধতাকেই প্রমাণ করে। ফেলুদা ছিলেন শখের গোয়েন্দা, আই মিন প্রাইভেট ডিটেকটিভ। শবর দাশগুপ্ত কিন্তু তা নয়। তিনি প্রফেশনাল ডিটেকটিভ- সিআইডির কর্মকর্তা। দুই চরিত্রের মধ্যে কোনো মিলই তো দেখছি না।

অঞ্জন : আপনি তো অনেক শিশুকিশোর, রম্য সাহিত্য রচনা করেছেন। পাতালঘর, কুঞ্জপুকুরের কাণ্ড, মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি, দুধসাগরের দ্বীপ, পটাশগড়ের জঙ্গলে, ঝিলের ধারে বাড়ি, সোনার মেডেল, নৃসিংহ রহস্য, বক্সার রতন, গজাননের কৌটা, গোঁসাই বাগানের ভূত, চক্রপুরের চক্করে, গৌরের কবচ, বনি, নবীগঞ্জের দৈত্য— এমন সব রচনার মুড আপনার কীভাবে আসে? 

শীর্ষেন্দু : মাঝে মাঝে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লিখতে লিখতে বড় ক্লান্ত হয়ে উঠি। তখন সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এমন সিলি বিষয়ে হাত দিই। তবে সেখানে আমার শৈশবের অনেক প্রসঙ্গ চলে আসে। শৈশব থেকে শব্দ চয়ন করে আমি ওই সব লিখি। ভেতরটা তখন ফ্রেশ লাগে। তা ছাড়া লেখার মধ্যে বহুমাত্রিকতা বা বৈচিত্র্য না থাকলে লেখক হিসেবে টিকে থাকা বড় কঠিন। 

অঞ্জন : নতুনদের লেখা পড়া হয় আপনার? কেমন করছে তারা? ওদের সম্পর্কে কিছু বলার যদি থাকে।

শীর্ষেন্দু : যারা লিখছে তাদের মধ্যে অনেকেই ভালো লিখছে। এপার বাংলা, ওপার বাংলা, দুই দেশেই। তবে আরো পরিশ্রম করতে হবে। আরো গভীরে যেতে হবে। আধুনিক লেখার নামে যা কিছু তা লিখলে সময় তাকে ধারণ করবে না। সময় বড় নিষ্ঠুর। সবাইকে সে আশ্রয় দিতে চায় না। যারা গেঁড়ে বসতে পারে- তারাই পাবে সময়ের স্বীকৃতি। আর একটা কথা বলতে চাই। এখনকার অনেকেরই খ্যাতির পেছনে এমনভাবে ছুটে যেন, খ্যাতি কোনো বাউন্ডারি। আগে তো নিজের ভিতটাকে শক্ত করতে হবে- তারপর না এগিয়ে চলা। খ্যাতির পেছন পেছন ছুটলেই যদি তাকে পাওয়া যেত, তাহলে তো কোনো কথাই ছিল না। সবাই সবকিছু ফেলে ওই ছোটাছুটিই করত। সবকিছুর জন্য অধ্যবসায় চাই। লিখতে হলে পড়তে হবে অনেক। স্কুল-কলেজের মতো কোনো ফাঁকিবাজি পড়া নয়। কেবল পড়ার জন্য পড়া নয়; শব্দের অর্থ বুঝে পড়তে হবে। বাক্যের প্রয়োগ নিয়েও ভাবতে হবে। তবে কোনো লেখকের দ্বারা প্রভাবিত হলে চলবে না। নিজের স্টাইলটা নিজেরই তৈরি করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আজ যে লেখক সাহিত্য ভুবনে টিকে আছে, তা কিন্তু নকল করে নয়। নিজের স্বতন্ত্র প্রতিভাতেই টিকে আছে। পাঠক অনুকরণীয় কিছু গ্রহণ করে না।

অঞ্জন : অনেক ভালো লাগল দাদা আপনার সঙ্গে কথা বলে। ঋদ্ধ হলাম। আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

শীর্ষেন্দু : তোমাকেও ধন্যবাদ। আশীর্বাদ করি, ভালো থেকো।

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ২৫ কোটির মামলা ঠুকলেন অক্ষয় কুমার
  2. টিজারেই ঝড় তুলল ‘ওয়ার ২’, মুক্তির তারিখ ঘোষণা
  3. বিয়ে নয়, এবার ‘লিভ ইন’ করতে চান সামান্থা!
  4. হিরানি-আমির জুটি এবার বায়োপিকে
  5. আমিরের নতুন সিনেমা মুক্তির ৮ সপ্তাহ পর দেখা যাবে ইউটিউবে
  6. সমালোচনার তীরে বিদ্ধ, তবু ভিউতে চূড়ায় ‘জুয়েল থিফ’
সর্বাধিক পঠিত

পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ২৫ কোটির মামলা ঠুকলেন অক্ষয় কুমার

টিজারেই ঝড় তুলল ‘ওয়ার ২’, মুক্তির তারিখ ঘোষণা

বিয়ে নয়, এবার ‘লিভ ইন’ করতে চান সামান্থা!

হিরানি-আমির জুটি এবার বায়োপিকে

আমিরের নতুন সিনেমা মুক্তির ৮ সপ্তাহ পর দেখা যাবে ইউটিউবে

ভিডিও
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ৬
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ৬
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩৭
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩৭
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
ফাউল জামাই : পর্ব ৯৩
ফাউল জামাই : পর্ব ৯৩
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, পর্ব : ১২
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৮
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৮
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৫
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৫
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৪৯
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৪৯
নাটক : প্রেম আমার
নাটক : প্রেম আমার

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x