মেলা কথা
অকাল বৃষ্টিতে নষ্ট অনেক বই

দুদিন বাকি থাকতে দুই দফা বৃষ্টির হামলার শিকার হলো একুশের গ্রন্থমেলা। এতে প্রকাশকরা যেমন বিপাকে পড়েন, তেমনি বিপদে পড়েন মেলাতে আসা পাঠক ও দর্শনার্থীরা।
রোববার প্রতিদিনের মতো মেলা শেষে স্টল বন্ধ করে বাসায় গেলেও সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগে হঠাৎ বৃষ্টি নেমে আসে রাজধানীর ওপর। পূর্বাভাস ছাড়া এই অকাল বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়াসহ ভিজিয়ে দিয়ে যায় মেলার অনেক বই। তাই সোমবার দুপুরে অনেক প্রকাশককেই মেলা মাঠে রোদে বই শুকাতে দেখা যায়। এসব বই শুকাতে না শুকাতেই সোমবার সন্ধ্যায় আরেক দফা বৃষ্টি হয়। ভারি বৃষ্টির তোড়ে এ সময় চটজলদি স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি অনেকের। মেলা প্রাঙ্গণ ভেসে যায় বৃষ্টির পানিতে। এ সময় আশ্রয়ের খোঁজে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করেন মেলায় আসা লোকজন।
বৃষ্টিতে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—জানতে চাইলে সময় প্রকাশনীর স্টলের ম্যানেজার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা সবাই স্টলে ছিলাম, তাই সন্ধ্যারাতের এ বৃষ্টিতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ভোররাতের বৃষ্টিতে প্রায় পাঁচশ বই ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে, যার বাজারমূল্য দুই থেকে তিন লাখ টাকা।’
আরো প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি আবদুল রাজ্জাক হৃদয় বলেন, ‘বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাতাস হয়েছে, যার ফলে দোকানে পানি ঢুকেছে। আমাদের প্রায় ৩০০ বই পানিতে নষ্ট হয়েছে। তাই সন্ধ্যায় বৃষ্টি আসার সঙ্গে সঙ্গে পলিথিন দিয়ে বই ঢেকে রেখেছি।’
বৃষ্টির আগমুহূর্তে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বইমেলা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন রুহুল আমিন। যাওয়ার সময় কথা হয় রুহুল আমিনের সঙ্গে। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইচ্ছে ছিল অনেক ক্ষণ থাকব, বাচ্চারা ঘুরে ঘুরে বই দেখবে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, তাই কেনাকাটা শেষ না করে দ্রুত বইমেলা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি।’
মেলায় সাধারণত শেষের দিনগুলোতেই ভালো বিক্রি হয়, কিন্তু অকাল এই বৃষ্টিতে সেই কেনাকাটায় কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে বলে অসন্তুষ্ট প্রকাশনীগুলো। তারপরও পুরো মেলার বই বিক্রি নিয়ে তাঁরা আনন্দিত।