মেলা কথা
আজ শেষ হচ্ছে প্রাণের বইমেলা

বইমেলার শেষ দিন আজ। শেষ হতে চলেছে গণমাধ্যমগুলোর মাসব্যাপী আয়োজনের। পত্রিকা, টেলিভিশন, বেতার ও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক ও কলাকুশলীরা পুরো এক মাস নিরলসভাবে বইমেলা, বই ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের কথা প্রচার করে গেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার মেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় দৈনিক সংবাদের সাংবাদিক আলতাফ হোসেনের সঙ্গে। খুঁজছেন সংবাদ তৈরির রসদ। শুধু আলতাফ নন, সব গণমাধ্যমকর্মীই ব্যস্ত মেলার নানামুখী খবর প্রচারে। বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল মেলা চত্বর থেকে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস। মেলার সব খবরাখবর জানাতে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ক্যামেরা হাতে চষে বেড়িয়েছেন টিভি সাংবাদিকরা।
গতকাল মেলা চত্বরে কথা হয় আরটিভির সাংবাদিক সোহেল রানার সঙ্গে। কেমন কাটল এবারের মেলা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘খুব ব্যাস্ত সময় কাটিয়েছি এই একটা মাস। এ মাস ভরে আমরা আমাদের দর্শকদের মাঝে বইমেলার খুঁটিনাটি তথ্যগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি। পাঠক, লেখক ও প্রকাশকের বিভিন্ন মন্তব্য এবং মেলায় আসা নতুন সৃষ্টিশীল ও ভালো মানের বই পাঠকদের মাঝে তুলে ধরি।’
চ্যানেল আই অনলাইনের সাংবাদিক মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ বলেন, ‘সংবাদকর্মী হিসেবে বইমেলার এ মাসটা খুবই উপভোগ করলাম। বইমেলা আমাদের সমাজজীবনে সত্যিই এক নতুন সংযোজন। প্রতিবছর এ মাসটা লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের জন্য আনন্দের মাস, সবাই অপেক্ষায় থাকে এ মাসের। আমরা পাঠককে ভালো লেখকের লেখা নতুন বই সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকি।’
পত্রিকার সাংবাদিকরাও খবরের পাশাপাশি সংগ্রহ করেছেন প্রচ্ছদ। একাধিক সংগঠন আবার মেলাকে কেন্দ্র করে নিয়মিত প্রকাশ করে বুলেটিন। সেখানেও কাজ করছেন অনেক ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক।
বইমেলায় গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এমন প্রশ্নের জবাবে রাজু আহমেদ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘মেলার সব তথ্য পাঠক গণমাধ্যম থেকেই নেয়। আমি যে বইগুলো কিনেছি বা বইয়ের পছন্দের তালিকা যে তৈরি করেছি, সেটা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত বইয়ের মধ্য থেকে করেছি।’
মেলায় আসা আরো অনেকেই একবাক্যে স্বীকার করে নিলেন, গণমাধ্যম না থাকলে অনেক বইয়ের খোঁজ তাঁদের পক্ষে পাওয়া সম্ভব হতো না। তবে বইয়ের সন্ধানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোও ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।