দেড় যুগপূর্তিতে শীর্ষেন্দুর দুই বই প্রকাশ প্রগতির

আসছে একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯, একে সামনে রেখে দেশের অন্যতম শিশুতোষ গ্রন্থ প্রকাশনা সংস্থা প্রগতি পাবলিশার্স প্রকাশনা জগতে দেড় যুগপূর্তি ও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের দুটি পপ আপ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করে। গত রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রগতি পাবলিশার্সের স্বত্বাধিকারী আসরার মাসুদ। তিনি জানান আঠারো বছর আগে ২০০১ সালে প্রগতির প্রতিষ্ঠালগ্নের কথা। কীভাবে তারা বইয়ের আকৃতিতে পরিবর্তন এনে, কচ্ছপ, বাঘ, ব্যাঙ, মাছ, রেলগাড়ি, এমনকি প্রশ্নবোধক চিহ্নের আকৃতিতে বই তৈরি করে শিশুদের আবারও বইমুখী করে তোলেন, সেই কথা।
অনুষ্ঠানে আরো কথা বলেন প্রগতি পাবলিশার্সের অন্যতম কর্ণধার সোলায়মান পারসী ফয়সল। তিনি প্রথমেই শারীরিক অসুস্থতা এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিশিষ্ট লেখক দিব্যেন্দু পালিতের মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠতে না পারার জন্য শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় যে এই প্রকাশনা উৎসবে যোগ দিতে পারেননি, সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি এ উপলক্ষে একটি ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটিও যথাসময়ে হাতে না পৌঁছানোর জন্য শোনানো সম্ভব হয়নি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব। প্রগতি পাবলিশার্সের সূচনালগ্ন থেকেই এর প্রতিটা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছেন আহসান হাবীব। তিনি বলেন, কীভাবে প্রতিবার নিজেদেরই উঁচু করে দেওয়া মানদণ্ডকে অতিক্রম করতে করতে প্রগতি গত আঠারো বছর ধরে তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। একের পর এক ডাইকাট বই প্রকাশ করেছে, ফ্লিপ বই প্রকাশ করেছে, দেশের প্রথম গ্রাফিকস নোভেল ‘সূর্যের দিন’ প্রকাশ করেছে। তারা হাইপার কমিকসের মতো বই করেছে, তবে সবচেয়ে যে বড় কাজটা তারা করেছে তা হলো ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো দেশে পপ আপ তৈরি করেছে ‘পান্তাবুড়ি’। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকাশনার উনিশতম বছরে পৌঁছে তারা তাদের প্রকাশনায় নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে আলোজ্বলা বই।
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা ভূতের গল্প নিয়ে তৈরি নিশি কবরেজ নামের পপ আপ বইটিই সেই বই। বইটা খুললে ভেতরে আলো জ্বলে উঠবে।
এদিন আরো একটি পপ আপ বইয়েরও মোড়ক উন্মোচন হয়—‘কোগ্রামের মধুপণ্ডিত’। এটির লেখকও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। প্রগতি পাবলিশার্সের প্রকাশিত এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আকৃতির বই এটা। বই দুটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য এর অলংকরণ। এই কঠিন কাজটি খুবই আকর্ষণীয়ভাবে করেছেন বিশিষ্ট শিল্পী সুমিত রায়।