এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে গল্পকার মনি হায়দারের ১৪তম গল্পগ্রন্থ ‘ইলিশের মাংস’।

গল্প বিষয়ে মনি হায়দার বলেন, ‘গল্প বিনে মানুষের দিন যাপন অসম্ভব, অন্তত আমার কাছে। জীবনের গল্প আছে বলেই বিচিত্র এই পৃথিবী এত অভিনব, এত বিষাদগ্রস্ত, এত সুন্দর, এত সমৃদ্ধ। গল্প এবং গল্পের আখ্যানই পারে মানব জীবনের যাবতীয় ক্লেদ, সুখ, অসুখ, ঘৃণা, বিবমিষা, প্রেম –অপ্রেম, খুন, আত্মপ্রতারণার সব অভিলাষ একই সঙ্গে রান্না করতে একটি পাতিলে। আমি সেই রান্নার কারিগর।’

মনি হায়দারের নতুন গল্পের বইতে ১৫টি গল্প আছে। গল্পগুলো সম্পর্কে লেখক বলেন, ‘আমার গল্পের একটা সিরিজ, আহীর আলমের বাম পা, ইতিমধ্যে এই সিরিজের তিনটি গল্প লিখেছি। সেই গল্প তিনটি আছে ‘ইলিশের মাংস’ গল্পের বইয়ে। আশা রাখছি, আগামী বইমেলায় ১০টি গল্প নিয়ে ‘আহীর আলমের বাম পা’ প্রকাশ পাবে এবং পাঠকরা অন্যরকম গল্পের সাধ পাবেন।’

‘ইলিশের মাংস’ বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা রয়েছে :

“অনুভূতির প্রবল রঙিন রক্তপাতই, গল্প। মানুষের জীবন গল্পের বিস্ময়কর সমষ্টি। আবার বিপরীতে টুকরো টুকরো কথা উল্লাস হাসি কান্না ঘৃণা পাশবিকতা বমন রক্তপাত খুন ধর্ষণ আত্মহত্যা গণহত্যা প্রতারণা চুম্বন নিবিড় কামড় বিবমিষার সমাহারও গল্প। মানব জীবনের প্রতিটি শীর্ষবিন্দুতে গল্পের অবাক অধিবাস। সেই অধিবাসের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। ‘ইলিশের মাংস’ মনি হায়দারের চৌদ্দতম গল্পগ্রন্থ। অজস্র শব্দ, প্রচুর বাক্য আর আখ্যান ভূগোলের ছিন্ন ভিন্ন রূপকচিত্রে বইয়ের ১৫টি গল্প আঁকা হয়েছে জীবনের দামে, রক্তের  হোলিখেলায়। ইলিশ তো ইলিশ কিন্তু মাংস কী? ইলিশ তখনই মাংসে পরিণত হয়, যখন ইলিশের মহাজন বলে অন্যের বৌ চুমকীকে, তুই আমার ইলিশ, তুই আমার মাংস!”