সাক্ষাৎকার
আরো বেশি বইমেলা হলে সাহিত্যের মান বাড়বে : পলাশ মাহবুব

অমর একুশে গ্রন্থমেলার ষষ্ঠ দিন পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের প্যাভিলিয়নের সামনে দেখা হয়ে গেল সময়ের ব্যস্ত লেখক পলাশ মাহবুবের সঙ্গে। পাঞ্জেরী থেকে বের হয়েছে তাঁর শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ ‘মা করেছে বারণ’। এ ছাড়া অন্বেষা প্রকাশন থেকে এসেছে তাঁর জনপ্রিয় টো টো কোম্পানি সিরিজের ষষ্ঠ কিশোর উপন্যাস ‘টো টো কোম্পানি ও সার্কাসের ঘোড়া’। কিশোর উপন্যাস ‘টুলু ব্রাদার্স’ এসেছে অনিন্দ্য প্রকাশন থেকে। অন্যপ্রকাশ থেকে মেলায় এসেছে গল্পগ্রন্থ ‘আবু ওসমানের নিজস্ব ভুল’।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার পলাশ মাহবুব সুযোগ পেলেই মেলায় আসার চেষ্টা করেন। কারণ, মেলা নিয়ে তিনি প্রতিদিন ‘প্রাণের মেলা’ নামে একটি সরাসরি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন।
মেলা ও তাঁর লেখালেখি প্রসঙ্গে পলাশ মাহবুব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বছরে একটা মেলা হওয়ায় একই সময়ে প্রকাশক-লেখকদের ওপর যেমন চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি চাপে পড়ছেন পাঠকরা।
একসঙ্গে এত এত লেখকের বই কিনতে হচ্ছে। ছয় মাস পরপর দুইটা মেলার আয়োজন করলে লেখক, প্রকাশক, পাঠক সবাই একটু চাপমুক্ত হয়। তখন আরো বেশি বই প্রকাশিত হয়ে বাংলা সাহিত্যকে আরো গতিশীল করবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
পলাশ আরো বলেন, ‘এখন লেখক হওয়া খুব সহজ হয়ে গেছে। শখের লেখকের ছড়াছড়ি। রাতারাতি লেখক হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। এতে করে মেলায় বইয়ের সংখ্যা বাড়লেও সাহিত্যে তা খুব একটা অবদান রাখতে পারছে না। একজন লেখককে লেখক হতে হলে সময় নিয়ে, পত্র-পত্রিকায় লিখে, নিজেকে কিছুটা পরিচিত করে তবেই আসা উচিত। লেখক আগাবেন একটা একটা করে সিঁড়ি বেয়ে। লিফট বেয়ে হুটহাট ওপরে উঠতে চাইলে লিফটের মতই দ্রুত পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।’
যাঁরা প্রস্তুত হয়ে লেখালেখিতে আসছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানান পলাশ মাহবুব।